ঢাকা ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মতবিনিময় সভায় মেয়র তাপস

অংশীজনদের কাছে দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রত্যাশা

১৫ জুন থেকে ৪ মাসের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং ১৫ জুলাই থেকে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে
অংশীজনদের কাছে দায়িত্বশীল ভূমিকার প্রত্যাশা

এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করে ঢাকাবাসীকে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ হতে সুরক্ষা দিতে সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনদের কাছ থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। গতকাল মঙ্গলবার নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ‘এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ’ এ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘ঢাকা শহরে গণপূর্ত অধিদপ্তর, রেলওয়ে, ওয়াসা, পুলিশ, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরসহ শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অধিদপ্তর ও বোর্ড ইত্যাদি অনেক সংস্থার অনেক আবাসন ও স্থাপনা রয়েছে। এছাড়াও এখানে রিহ্যাবের প্রতিনিধি এসেছেন। আপনারা জানেন, নির্মাণাধীন প্রায় শতভাগ ভবনে আমরা মশার লার্ভা পাই। বিশেষ করে চৌবাচ্চাসহ অন্যান্য যেসব অবকাঠামো করা হয়, সেখানে পানি জমে থাকে। আমরা চাই, সেসব নির্মাণাধীন ভবন ও স্থাপনায় যেন এডিসের প্রজননস্থল সৃষ্টি না হয় সেজন্য আপনারা যথাযথভাবে তদারকি করবেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে আরও বেশি জোর দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে মেয়র শেখ তাপস বলেন, যে নিয়মিত কর্মপরিকল্পনা আমরা সাজিয়েছি তার মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমরা আরও বেশি নজর দিতে চাই। বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণগুলোতে আমরা আরও বেশি নজর দিতে চাই। সেজন্য আমরা শিক্ষা অধিদপ্তরসহ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকেও আজকের সভায় আমন্ত্রণ করেছি। যাতে করে তারা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেন।

সভায় শেখ তাপস এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আগামী ১৫ জুন থেকে ৪ মাসব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা এবং আগামী ১৫ জুলাই থেকে ৩ মাসব্যাপী কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানান।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এছাড়া, রেলওয়ের ঢাকা ডিভিশনাল মেডিক্যাল অফিসার ডা. রিপন দাস, রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট সোহেল রানা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ড. মো. হাসান ফারুক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিউটন হাওলাদার প্রমুখ এডিস নিয়ন্ত্রণে তাদের নিজ নিজ সংস্থা কর্তৃক গৃহিত কার্যক্রম ও মতামত তুলে ধরেন।

সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার উপ-পরিচালক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদ, বিজিবি’র লে. কর্নেল নুরজাহান আক্তার, বাংলাদেশ বেতারের পরিচালক মো. আবদুল হক, রাজউক সদস্য তন্ময় দাস, আইইডিসিআর-এর সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ডা. রুমানা আক্তার পারভীন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পেস্টিসাইড রেগুলেশন অফিসার মো. এমদাদুল হক, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ডা. ফাতিমা জোহরা, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর, মাউশি, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রতিনিধিরা এবং করপোরেশনের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত