একদিন বাকি থাকতেই বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। এর মধ্যে মহানগর বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাইদুল হাসান মামুন, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুল্লাহসহ বেশ কয়েকজন রয়েছেন।
যদিও বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্তে প্রত্যাহারের শেষ দিনেও (বৃহস্পতিবার) এই সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেতে পারে বলে ধারণা করা হয়। কারণ, ইতোপূর্বে অনেক বিএনপি নেতাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আবার অনেক জায়গায় একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন। বিভেদ না থাকলে তাদের মধ্য থেকেও অনেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারেন। বিসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নগরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর অ্যাডভোকেট একেএম মুরতজা আবেদীন, তার স্ত্রী নাছিমা বেগম ও ছেলে এসএম মাকীন আবেদীন বৈধ প্রার্থী হিসেবে এখনো নির্বাচনের মাঠে রয়েছেন।
এছাড়া ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মজিবর রহমান ও তার ছোট ভাই জিয়াউর রহমান, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. মোশারেফ আলী খানের স্ত্রী রুবিনা আক্তার ও তার ছেলে মো. আল জায়েদ খান, ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আ. ন. ম সাইফুল আহসান আজিম ও তার স্ত্রী জেসমিন সামাদ শিল্পী, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. ফিরোজ আহমেদ ও তার ছোট ভাই কাওছার হোসেন শিপন, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর মো. হুমায়ুন কবির ও তার ছোট ভাই সহিদুল ইসলামও বৈধ প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। তবে এসব প্রার্থী শেষ পর্যন্ত নির্বাচনি মাঠে অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদেরও প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখছেন কি না, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হলেই।
এদিকে একাধিক সাধারণ আসনের কাউন্সিলররা তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন দিলেও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর এবং কোনো মেয়রপ্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেনি বলে নিশ্চিত করেছে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়। বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত পাঁচজনের মতো কাউন্সিলর প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। যার মধ্যে নগরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে সৈয়দ সাইদুল হাসান মামুন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শেখ মো. আলম, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে নুরুল ইসলাম সম্রাট, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. হাবিবুল্লাহ, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে মো. জিয়াউর রহমান রিটার্নিং অফিসার বরাবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন। এদের মধ্যে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শেখ মো. আলম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় সেখানে অ্যাডভোকেট মো. রফিকুল ইসলাম (খোকন) নামে মাত্র একজন প্রার্থী রয়েছেন, বাকিগুলোতে একাধিক প্রার্থী রয়েছেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার মনিরুল ইসলাম জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এর পরই প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে প্রার্থীদের। প্রতীক বরাদ্দের পর নিয়ম মেনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণা শুরু করবেন।
