ঢাকা ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির ছায়া সংসদ

‘নির্বাচনি ইশতেহারে ভোক্তা অধিকার অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে’

‘নির্বাচনি ইশতেহারে ভোক্তা অধিকার অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে’

প্রচলিত ভোক্তা অধিকার আইনের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তবে এ আইনের আধুনিকায়নে কাজ চলছে। কয়েকটি কর্পোরেট কোম্পানি পণ্যমূল্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে অবৈধ মজুত ও উৎপাদন বন্ধের মতো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। এসব কোম্পানির বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা কমিশনের মাধ্যমে এরই মধ্যে ৫৪টি মামলা করা হয়েছে। অবৈধ মজুতদারের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া উচিত। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে রাজনৈতিক অঙ্গীকার খুবই জরুরি। রাজনৈতিক দলগুলো আগামী নির্বাচনের আগে ইশতেহারে ভোক্তা অধিকারের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে পারে। আসন্ন ঈদুল আযহায় পশুর হাটে কৃত্রিম সংকট নিরসন ও দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে। নিত্যপণ্যের ভেজাল ও নকলবিরোধী অভিযানসহ বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কাউকে হয়রানির উদ্দেশে নয় বরং ভোক্তা স্বার্থ সংরক্ষণের লক্ষ্যে আইনি কাঠামোর মধ্যে অভিযান পরিচালনা করে। ভোক্তা অধিকার আদায়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বিত কার্যক্রম আরো জোরদার হলে জনগণ তার সুফল পাবে। গতকাল শনিবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান উপরোক্ত অভিমত ব্যক্ত করেন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। সভাপতির বক্তব্যে হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, প্রতিটি ভোক্তারই নিরাপদ, মানসম্পন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত পণ্য ও সেবা পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারসাজিতে ভোক্তারা তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। চটকদার বিজ্ঞাপন, নকল ও ভেজাল পণ্য বিক্রয়, চাহিদা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়া, ক্রয়মূল্য থেকে অত্যধিক বেশি মূল্যে পণ্য বিক্রয়, পণ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি, কালোবাজারিসহ বিভিন্ন অসাধু কার্যকলাপের কারণে ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছে। এই ধরনের প্রতারণার শিকার ভোক্তারা জানেন না কোন প্রক্রিয়ায় এর প্রতিকার পাওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে উপযুক্ত প্রমাণসহ নিকটস্থ থানায় অথবা জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করলে প্রতিকার পাওয়া যায়। অনলাইনে, মুঠোফোনে অথবা ইমেইলে এই অভিযোগ করা যায়। বিদ্যমান আইনে ভোক্তা কোনো প্রতারণার অভিযোগ করতে চাইলে ৩০ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে হয়। এরপর কয়েক দফা শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানির জন্য ভোক্তাকে কয়েক দিন সরেজমিন হাজির হতে হয়। সময়, শ্রম ও যাতায়াতের ভোগান্তির কারণে ভোক্তারা অনেক সময় ভোক্তা অধিকার আইনের সুযোগ নিতে নিরুৎসাহিত হয়। এসব কারণে ভোক্তাদের অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য অনলাইনে শুনানির ব্যবস্থা করা যেতে পারে।

“ভোক্তা অধিকার নিশ্চিতে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনার সুফল পাওয়া যাচ্ছে” শীর্ষক ছায়া সংসদে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন ড. এসএম মোর্শেদ, সাংবাদিক মাঈনুল আলম, সাংবাদিক দৌলত আক্তার মালা, সাংবাদিক হিরযুন মীরা, স্থপতি সাবরিনা ইয়াসমিন মিলি প্রমুখ। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত