পীরগাছায় ব্রিজ ধসে পড়ে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আব্দুর রহমান মিন্টু, রংপুর
রংপুরের পীরগাছার আলাইকুমারী নদের ওপর নির্মিত ব্রিজটি ধসে পড়েছে। এতে মাহিগঞ্জ-পাওটানা রুটে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছে জনসাধারণ। আলাইকুমারী নদীতে ঝুঁকিপূর্ণ একটি ব্রিজ ভেঙে পড়ায় চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আলাইকুমারী নদী খননে ভেঙে পড়েছে ৩০ মিটারের একটি সেতু। এতে ৬০ গ্রামের প্রায় আড়াই লাখ বাসিন্দা দুর্ভোগে পড়েছেন। গতকাল দুপুরে প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন প্রায় দুই কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করছেন ওই সড়ক ধরে চলাচল করা যাত্রীসাধারণ ও যানবাহন।
রংপুর-পাওটানা সড়কের দামুর চাকলা বাজারের কাছে ২৭ মিটার দৈর্ঘ্যরে ব্রিজটি রোববার ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। এতে প্রায় দুই কিলোমিটার ঘুরে যাতায়াত করছেন রংপুর-পাওটানা সড়কের চলাচলরত মানুষ ও যানবাহন।
উপজেলা প্রকৌশল দপ্তর ও এলকাবাসী জানান, রংপুর-পাওটানা সড়কের দামুর চাকলাবাজারের পশ্চিম পাশে আলাইকুমারী নদীর ওপর ১৯৮২ সালে ২৭ মিটার দৈর্ঘ্যরে এই ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়। ২০২১ সালে ভারি ট্রাক চলাচলের কারণে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। সম্প্রতি উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে একই স্থানে ৪ কোটি ৪১ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩৬ মিটার একটি ব্রিজ নির্মাণের টেন্ডার আহ্বান করা হয়।
এদিকে, টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই রোববার রাতে ব্রিজের ওপর দিকে একটি নৈশকোচ ও একটি ভারি ট্রাক যাওয়ার পর ব্রিজে ফাটল দেখা দেয়। এর ৩০ মিনিট পর ব্রিজটি ভেঙে নদে পড়ে যায়।
পীরগাছা উপজেলা প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম বলেন, ওই স্থানে নতুন ব্রিজের জন্য টেন্ডার আহ্বান হয়েছে। ঠিকাদার নির্ধারণ হয়নি। ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে ব্রিজটি ভেঙে পড়েছে। যত দ্রুত কাজ শুরু করা যায় তার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাজমুল হক বলেন, বিষয়টি জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক করার ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া, দ্রুততম সময়ের মধ্যে অলটারনেটিভ ব্যবস্থা করে যাতায়াতে দুর্ভোগ লাঘবের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মাহবুবার রহমান বলেন, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছেন। তিনি আরও জানান, ব্রিজের একটি স্লাব ধসে পড়ায় আমাদের এলাকার ১ থেকে দেড় লাখ মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার পাশাপাশি আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে যানবাহন চলাচললের জন্য কি ব্যবস্থা করা যায়, তা নিয়ে আলোচনায় বসেছি।