নৌবাহিনীর ৭৭৩ নবীন নাবিকের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত
প্রকাশ : ০২ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
আলোকিত ডেস্ক
বাংলাদেশ নৌবাহিনীর এ/২০২৩ ব্যাচের ৭৭৩ জন নবীন নাবিকের শিক্ষা সমাপনী কুচকাওয়াজ গতকাল বুধবার খুলনাস্থ নৌঘাঁটি বানৌজা তিতুমীর প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম শাহীন ইকবাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। পরে, তিনি কৃতী নবীন নাবিকদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন। নৌবাহিনীর এ/২০২৩ ব্যাচের নবীন নাবিকদের মধ্যে মো. মেহেদী হাসান মারুফ পেশাগত ও সকল বিষয়ে সেরা চৌকস নাবিক হিসেবে ‘নৌপ্রধান পদক’ লাভ করে। মো. আল-আমিন দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ‘কমখুল পদক’ এবং মো. ইব্রাহীম তৃতীয় স্থান অধিকার করে ‘তিতুমীর পদক’ লাভ করে। নৌপ্রধান নবীন নাবিকদের উদ্দেশে তার ভাষণে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধার সাথে স¥রণ করেন। সেই সাথে তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণকারী বীর নৌসেনা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স¥রণ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রীর অসামান্য প্রজ্ঞা, দূরদর্শিতা ও দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী আজ একটি আধুনিক ও ত্রিমাত্রিক নৌবাহিনী হিসেবে সুপরিচিত। একটি সমৃদ্ধিশালী নৌবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে নৌবহরে সাবমেরিনসহ আধুনিক প্রযুক্তির যুদ্ধজাহাজ যুক্ত হয়েছে। পাশাপাশি নৌবাহিনীর সাবমেরিনগুলোর অপারেশনাল কর্মকাণ্ড ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কুতুবদিয়ার পেকুয়ায় সাবমেরিন ঘাঁটি ‘বানৌজা শেখ হাসিনা’ কমিশনিং করা হয়েছে। তাছাড়া পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরের কাছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উপকূলীয় ও সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তায় নির্মিত ‘বানৌজা শের-ই-বাংলা’ ঘাঁটি শিগগিরই কমিশনিং করা হবে। যেখানে বৃহৎ পরিসরে নবীন নাবিকদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আধুনিক সুবিধা সংবলিত অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে উক্ত ঘাঁটির মাধ্যমে এ অঞ্চলের সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নৌবাহিনীর আভিযানিক, প্রশাসনিক ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে আরও গতিশীলতা আসবে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে নৌবাহিনীর জন্য খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত চারটি পেট্রোল ক্রাফ্টের নির্মাণ শেষ হয়েছে যা অতিশীঘ্রই নৌবহরে যুক্ত হবে। সেইসাথে নেভাল এভিয়েশনের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে দুটি ইউটিলিটি হেলিকপ্টার নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে নৌবাহিনীর অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজ সংযোজন ও আধুনিকায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। নৌপ্রধান নৌবাহিনীর এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে এবং আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় উচ্চ মনোবল ও সাহস নিয়ে নবীন নাবিকদের একযোগে দেশের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেন। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সহকারী নৌপ্রধান (পার্সোনেল), খুলনা নৌ অঞ্চলের আঞ্চলিক কমান্ডারসহ উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা এবং নবীন নাবিকদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।