ঢাকা ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পাটপণ্য উৎপাদনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হবে ফরিদপুর

বললেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
পাটপণ্য উৎপাদনের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র হবে ফরিদপুর

আধুনিক ও স্মার্ট বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন করতে এ খাতের সঙ্গে জড়িত উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের লক্ষ্যে পাটসমৃদ্ধ জেলা ফরিদপুরে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করার নির্দেশ দিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক। বহুমুখী পাটপণ্যের প্রসার বাড়াতে আরো বেশি হারে দেশে ও বিদেশে পাটপণ্যের প্রদর্শনী করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, সে দিন আর বেশি দূরে নয় সরকারের সব উদ্যোগের ফলে বহুমুখী পাটপণ্য সবার হাতে হাতে পৌঁছাতে পারব।

গতকাল রোববার সকালে ফরিদপুরের অম্বিকা মেমোরিয়াল হলে বহুমুখী পাটপণ্য বিক্রয় ও প্রদর্শনী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। পাট অধিদপ্তর ও ফরিদপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট সচিব মো. আব্দুর রউফ, জেডিপিসির নির্বাহী পরিচালক মো. মাহমুদ হোসেন, পাট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সেলিনা আক্তারসহ অন্যরা।

মন্ত্রী বলেন, পাটের সঙ্গে দেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ জড়িত। তাই পাটপণ্যের রপ্তানির পাশাপাশি পাটের অভ্যন্তরিণ ব্যবহার বৃদ্ধি করতে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন, ২০১০’ অনুযায়ী ১৯টা পণ্যে পাটের বস্তার সঠিক ব্যবহার, পাটের বস্তার জোগান ও দেশব্যাপী পরিচালিত অভিযান আরো জোরদার করতে পাট অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসনকে আরো আন্তরিক হতে হবে। পাট মৌসুমে কাঁচা পাট পচাতে স্বচ্ছ পানির সমস্যার কথা অনুধাবন করে তিনি বলেন, দরকার হলে সরকারি জলাধার লিজ নিয়ে পাট পচাতে কৃষকদের সহযোগিতা করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জেডিপিসির কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, যত পারেন পাটপণ্যের মেলার আয়োজন করতে হবে। এতে দেশে পাটপণ্যের চাহিদা যেমন বাড়বে তেমনি এ খাতের উদ্যোক্তাদের বিক্রিও বাড়বে। এতে করে তারা দেশের বাইরেও পাটপণ্য রপ্তানি করতে উৎসাহী হবে।

মন্ত্রী বলেন, পাটপণ্য দিন দিন গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে। এখন আমাদের আরো উদ্যোক্তা তৈরি করতে হবে। পাটপণ্যের উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পণ্যের গুণগত মান বাড়ানোয় আরো বেশি মনোযোগী হতে হবে। এছাড়াও পণ্য বহুমুখিকরণের পাশাপাশি পাটপণ্যের নতুন নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পাটজাত পণ্যকে বর্ষপণ্য-২০২৩ এবং সোনালী আঁশ পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এরইমধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা বাস্তবায়ন করতে, পাটপণ্যকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম শুরু করেছে। সে লক্ষ্যে পাট খাতের অংশীজনসহ বছরব্যাপী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিভিন্ন প্রদর্শনী, সেমিনার, সভা ও প্রচারণামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। দেশের প্রত্যেকটি জেলা ও বিভাগীয় শহরে পাট ও পাটজাতপণ্য প্রদর্শনী ও মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য, ৪ থেকে ৮ জুন প্রতি দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই প্রদর্শনী চলবে। এবার মেলায় ২২টি উদ্যেক্তা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। তারা বহুমুখী পাটপণ্যের পসরা সাজিয়েছেন। বহুমুখী পাটপণ্যের উদ্যোক্তারা ২৮২ প্রকার দৃষ্টিনন্দন পাটপণ্য উৎপাদন করছেন। প্রদর্শনীতে পাটের প্রায় সব পণ্য রয়েছে। গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত