ঢাকা ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষ চারে ঢাকা

দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষ চারে ঢাকা

গেল কয়েক দিনের তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষ ১০ এর মধ্যেই ঘুরছে ঢাকা। ১৩৯ স্কোর নিয়ে আজো রাজধানীর অবস্থান শীর্ষ ৪ নম্বরে। বায়ুর এই মান সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গতকাল সকাল ৯টায় আবহাওয়ার মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক এই তথ্য জানিয়েছে। আইকিউএয়ার এর তথ্য অনুযায়ী, দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ। শহরটির স্কোর ১৬৬। পাশাপাশি দ্বিতীয় অবস্থানে ১৫৩ স্কোর নিয়ে কাতারের দোহার পর ১৫২ স্কোর নিয়ে শীর্ষ তিনে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। এছাড়া শীর্ষ চারে ঢাকার পর ৫ ও ৬ নম্বরে রয়েছে নেপালের কাঠমান্ডু এবং ভারতের দিল্লি। শহরদুটির স্কোর যথাক্রমে ১২১ ও ১১২। এদিকে, দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষ ৭ নম্বরে ১১০৯ স্কোর নিয়ে অবস্থান করছে চিলির সান্তিয়াগো। পাশাপাশি ৮ নম্বরে ১০৯ স্কোর নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটি, ৯ নম্বরে ১০৩ স্কোর নিয়ে ইতালির মিলানো এবং শীর্ষ ১০ এ একই স্কোর নিয়ে আছে কানাডার টরন্টো শহর। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয়। সেই সঙ্গে তাদের জন্য কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়। বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজোন (ও৩)। স্কোর শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকলে বায়ুর মান ভালো বলে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ হলে মাঝারি বা সহনীয় ধরা হয় বায়ুর মান। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়। এছাড়া ৩০১-এর বেশি হলে তা দুর্যোগপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণের কবলে রাজধানী ঢাকা।

এখানকার বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা ভালো থাকে। ২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণাধীন ধুলো। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত