ঢাকা ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নারায়ণগঞ্জের বায়ু-মাটি-পানি তিনটিই দূষিত

নারায়ণগঞ্জের বায়ু-মাটি-পানি তিনটিই দূষিত

পরিবেশের প্রধান উপাদান বায়ু, মাটি ও পানি। নারায়ণগঞ্জের বায়ু, মাটি ও পানি- এ তিনটিই দূষিত। বিশেষ করে বায়ুদূষণের মাত্রা অত্যন্ত বেশি। কথাগুলো বলেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. এএফএম মুশিউর রহমান। বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জের বায়ু নারী, শিশু, বয়োজ্যেষ্ঠ ও অসুস্থদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’। দূষণের দিক থেকে ঢাকা ও গাজীপুরের পরই এ জেলার অবস্থান। শুষ্ক মৌসুমে নারায়ণগঞ্জের বায়ু মানের সূচক থাকে ২৭০ এর উপরে। বায়ু মানের সূচক ২০০ অতিক্রম করলে তা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) নারায়ণগঞ্জ জেলা সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন বলেন, ‘শহরের চারিদিকে অবৈধ ইটভাটা রয়েছে। ধলেশ্বরীর পূর্বপাড়ে অনেক অবৈধ ইটভাটা গড়ে উঠেছে। প্রশাসন থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের কর্মচারীদের ম্যানেজ করে বছরের পর বছর এসব ভাটা চলছে। ধলেশ্বরী ও বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে যেসব কারখানা আছে ইটিপি (বর্জ্য পরিশোধনাগার) প্ল্যান বাস্তবায়নের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও তারা সেগুলো মানছেন না। ফলে নদীগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। ইটভাটার ধোঁয়ায় শহরের বায়ুদূষণ হচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘শহরের বিভিন্ন জায়গায় সিটি করপোরেশনের ময়লার স্তূপ ফেলে রাখা হয়। এসব ময়লা-আবর্জনা সময়মতো পরিষ্কার করছে না। এখানে সিটি করপোরেশনের গাফিলতি রয়েছে। আমাদের বাজারগুলোও পরিবেশসম্মত না। সিটি করপোরেশনের উচিত বাজারগুলো সংস্কার করে যুগোপযোগী ও পরিবেশসম্মত করা। পলিথিনের ব্যবহার নিয়ে আমাদের সচেতন হওয়া প্রয়োজন।’ এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠুভাবে ময়লা-আবর্জনা অপসারণের বিষয়ে আমাদের কার্যক্রম চলমান। সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনাবিদ মঈনুল ইসলাম জানান, কার্বন নিঃসরণ কমাতে এলইডি বাতি স্থাপন, খাল ও জলাধার সংরক্ষণ, বৃক্ষরোপণসহ বিভিন্ন উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত