প্রযুক্তিতে দক্ষ না হলে অনেক দরজা বন্ধ হয়ে যাবে

বললেন স্পিকার

প্রকাশ : ০৯ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, পার্লামেন্ট সদস্য, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা যাতে দেশেই প্রযুক্তিবিষয়ক উন্নত প্রশিক্ষণ পান সে লক্ষ্য নিয়ে উদ্বোধন হলো স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি। স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করবে এ স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমি। গতকাল বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্মার্ট লিডারশিপ একাডেমির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু ও সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আব্দুস সালাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইসিটি ডিভিশনের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রযুক্তি নির্ভরশীলতা দিনকে দিন বেড়ে চলেছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নাগরিকদের প্রস্তুত না করতে পারলে আগামীতে অনেক দরজা বন্ধ হয়ে যাবে। এ বিষয়কে সামনে রেখে তথ্য প্রযুক্তিকে কোনো নির্দিষ্ট নাগরিকের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে প্রতিটা নাগরিককে দক্ষ করে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে স্মার্ট লিডারশিপ ট্রেনিং একাডেমি।

তিনি আরো বলেন, তথ্য প্রযুক্তিতে প্রশিক্ষণ নিতে পার্লামেন্ট সদস্য, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বাইরে যেতে হয়। এতে বিপুল পরিমাণ অর্থের ব্যয় হয়, সময় অপচয় হয়। দেশেই যাতে সব প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়, সে লক্ষ্য নিয়ে এ একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এ একাডেমি হবে আন্তর্জাতিক মানের লিডারশিপ আইসিটি বিষয়ক ট্রেনিং একাডেমি। যেখানে দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষক থাকবে। তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ হলো প্রযুক্তি নির্ভর বুদ্ধিদীপ্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। সে লক্ষ্য পূরণে নাগরিকদের প্রস্তুত করতে যা যা করা প্রয়োজন, সরকার সেটিই করছে। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য হলো রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করা। সেজন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় পরিবর্তিত ব্যবস্থায় নিজেকে তথ্যপ্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করতে হবে। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক বলেন, সিঙ্গাপুর ও ইসরাইল দুটি দেশ; যার উল্লেখযোগ্য ভূমি, জনশক্তি এবং সম্পদ না থাকলেও তথ্যপ্রযুক্তি ও বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার করে আজ সফট সুপার পাওয়ারে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের যে বিপুল জনশক্তি রয়েছে তার সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সম্পদে পরিণত করার সুযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।

তিনি বলেন, ব্যক্তি জীবনে কেউ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করি আর না করি আগামীতে সরকার, রাজনীতি, অর্থনীতি, তথা জীবনে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এজন্য নিজেদের যেমন প্রস্তুত করতে হবে, তেমনি এ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে যাতে কেউ মানবতার বিরুদ্ধে কাজে না লাগাতে পারে সেজন্য সচেতন থাকতে হবে। পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার যে ভিশন দিয়েছেন সেটি শুধু একটি নির্বাচনে জেতার ভিশন নয়, এটি আগামীর বাংলাদেশের জন্য যোগ্য নাগরিক গড়ে তোলার ভিশন।