ঢাকা ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঢাকার পূর্বাচলে মুগ্ধ পর্যটক

ঢাকার পূর্বাচলে মুগ্ধ পর্যটক

চারদিকে মনোরম পরিবেশ। নির্মল বাতাস, স্বচ্ছ লেক আর সীমাহীন আকাশ যেন মিলেমিশে একাকার। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের আধার পূর্বাচল উপশহর। বিকাল হলেই এখানে পর্যটকের ভিড় জমতে থাকে। ছুটির দিনে পা ফেলবার ফুসরত থাকে না এখানে। রাজধানীর কাছেই নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গড়ে উঠছে বৈচিত্র্যপূর্ণ এ উপশহর। ঢাকার ৩০০ ফুট সড়কের পাশে রূপগঞ্জ-কালীগঞ্জের কিছু অংশে ৬ হাজার ১৫০ একর জায়গায় প্রকল্পটি গড়ে উঠছে। ৩০টি সেক্টরে বিভক্ত পূর্বাচলে ২৬ হাজার প্লটের মধ্যে ২১ হাজার হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রকল্পের পাশ দিয়ে দুই লেনের পিচঢালা সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। লেকে নির্মাণ করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন সেতু। কোথায় বহুতল ভবন কোথাও কোথাও গড়ে উঠেছে টিন-কাঠের অস্থায়ী ঘর। কেউ প্রাচীর তৈরি করে রেখেছেন নিজের প্লটে। সবুজ-শ্যামল প্রান্তর দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করছে। এক সেক্টর থেকে আরেক সেক্টরের মূল সড়কের দুই পাশে গোল চত্বর, লেকের পাড়ে সারি সারি হোটেল-রেস্টুরেন্ট ও ফলমূলের দোকান গড়ে উঠেছে। রাস্তার পাশে বেলুন, ফুচকা, চটপটি তন্দুরি চাসহ সব মিলছে হাতের নাগালে। প্রকল্পের ১২-২১ নম্বর সেক্টরের লেকে ছোট বড় নৌকা বিনোদন প্রেমিদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত সাধারণ মানুষের ভিড় থাকে এখানে। ছুটির দিনে দর্শনার্থীর সমাগম থাকে চোখে পড়ার মতো। পূর্বাচলের লেকে শতাধিক নৌকায় চড়ে দর্শনার্থীদের সময় কাটে। কয়েকজন মাঝি জানান, পূর্বাচলের ১২ ও ২১ নম্বর সেক্টরের লেক দুটিতে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের প্রায় কয়েকশ’ বাহারি নৌকা। বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত দর্শনার্থীদের নিয়ে ঘুরে বেড়ায় নৌকাগুলো। লেকের এক পাশ থেকে অন্য পাশে ঘুরে আসতে একটি নৌকার সময় লাগে ১ ঘণ্টা। ২-৪ জন দর্শনার্থীর এটুকু দূরত্ব ভ্রমণ করতে গুনতে হয় ৩০০ টাকা। দর্শনার্থীর সংখ্যা বেশি হলে সমপরিমাণ দূরত্ব ভ্রমণে দিতে হয় ৪০০-৬০০ টাকা। ঢাকার মালিবাগ থেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে পূর্বাচলে ঘুরতে এসেছেন সুমন রানা। তিনি জানান, ইট-পাথরের নগরী থেকে একটু মুক্ত বাতাসে ঘুরতে এখানে এসেছি। বাচ্চারা লেকের নৌকায় চড়ে বেশ আনন্দ উপভোগ করছে। শিরিন সুলতানা কেয়া নামের রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এক নারী জানান, ছুটির দিনে প্রায়ই সন্তানদের নিয়ে পূর্বাচলে ঘুরতে আসি। পড়ন্ত বিকেলে লেকের জলে নৌকায় চরে বেড়াতে বাচ্চাদের খুব ভালো লাগে। সেখানে ঘুরতে আসা শাহরিয়ার সুজন নামে এক কলেজছাত্র জানান, ছুটির দিনে সহপাঠীদের নিয়ে এসেছি। পুরো প্রকল্পই সুন্দর। খুব ভালো লাগছে। ১২ নম্বর সেক্টর লেকের মাঝি রতন মিয়ার সঙ্গে । তিনি জানান, দুই লেকে প্রায় ২০০ বিভিন্ন ধরনের নৌকা রয়েছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে ঘুরতে আসা মানুষের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। প্রতিদিন ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা রোজগার হলেও ছুটির দিনগুলোতে সেটি বেড়ে যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত