ঢাকা ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

হাঁড়িভাঙা আমে ভরে গেছে বাজার

বিক্রিও হচ্ছে কম দামে
হাঁড়িভাঙা আমে ভরে গেছে বাজার

রংপুরে প্রতি বছরই জুনের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে বাজারে পাওয়া যায় অতি সুমিষ্ট আঁশহীন হাঁড়িভাঙা আম। তবে এবার তীব্র দাবদাহের কারণে ১০ দিন আগেই বাজারে এসেছে বিষমুক্ত এই আম। চাষি ও ব্যবসায়ীরা বলেছেন, আবহাওয়ার বিরুপ আচরণে এ বছর হাঁড়িভাঙা আম আগাম পেকেছে। এ কারণে জেলা প্রশাসন ও কৃষি অধিদপ্তরের অনুমতিক্রমে ২০ জুনের পরিবর্তে গত শনিবার থেকে বাজারে আম সরবরাহ শুরু করেছেন চাষিরা। হাঁড়িভাঙার মৌসুমে আমের সবচেয়ে বড় হাট বসে রংপুরের পদাগঞ্জ ও কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায়। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি। গত শনিবার সকাল থেকেই হাট শুরুর প্রথম দিনেই ক্রেতাদের সরব উপস্থিতিতে জমজমাট হয়ে উঠছে আমের বিকিকিনি। হাটবাজার ছাড়াও নগরীর বিভিন্ন অলিগলি ও মোড়ে মোড়ে ফেরি করে হাঁড়িভাঙা আম বিক্রি করতে দেখা গেছে। এদিকে ক্রেতারা বলেছেন, গত বছরের তুলনায় এবার আমের বাজারে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছেন তারা। আর ব্যবসায়ীরা বলছেন, হাঁড়িভাঙার ভালো ফলন হওয়ায় অল্প লাভেই বেশি বিক্রির আশা করছেন তারা। তবে এ বছর হাঁড়িভাঙা আমের ফলন ভালো হলেও অনাবৃষ্টি-অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে আমের আকার খুব বেশি বড় হয়নি। এদিকে আম পাড়া ও বাজারে সরবরাহকে ঘিরে ব্যস্ততা বেড়েছে আম চাষি, ব্যবসায়ী, পরিবহন সংশ্লিষ্টদের। আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছোট সাইজের হাঁড়িভাঙা আমের মণ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা, মাঝারি সাইজের ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা এবং বড় সাইজেরটা ১ হাজার ৭০০ থেকে ২ হাজার টাকা। সেই হিসাব অনুযায়ী প্রতি কেজি হাঁড়িভাঙা আম সর্বনিম্ন ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এবারে আমের বাজার ভালো যাবে বলে ধারণা করছেন আম ব্যবসায়ীরা। পদাগঞ্জ এলাকার আম ব্যবসায়ী মেহেদী হাসান বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার আমের আকার কিছুটা ছোট হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত