ঢাকা ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে গ্রিন চেরি চাষ

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে গ্রিন চেরি চাষ

সবুজ রঙের ফল, দেখতে বাঙ্গির মতো, গাছের পাতা অনেকটা রক মেলনের মতো, ফলটি খেতে খুবই সুস্বাদু মিষ্টি। ফলটির নাম গ্রিন চেরি। বরেন্দ্র অঞ্চল রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে গ্রিন চেরির চাষ হয়েছে। উপজেলার গোলাই এলাকায় এ গ্রিন চেরির চাষ করে কৃষক আবেদ আলী। গ্রিন চেরি বাঙ্গি, তরমুজ, রকমেলন গোত্রের উদ্ভিদ। ফলটি খুবই সুস্বাদু পুষ্টিকর ও এনটি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ। শরীরে পটাশিয়াম ও ক্যালসিয়ামের ব্যালেন্স তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে। খোশাসহ ফলের সম্পূর্ণ অংশ খাওয়া যায়। আবেদ আলী মালচিং পদ্ধতিতে ৪০ টি গ্রিন চেরি ফলের গাছ লাগিয়েছে। গাছে এখন তার ফল ঝুলছে। দূরদূরান্ত থেকে এ ফল দেখতে আসছে অনেক কৃষক। তার এ গ্রিন চেরি ফল দেখে অনেক কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে এ ফল চাষের জন্য। গ্রিন চেরি ফলটি সারা বছর চাষ করা যায়। তবে শীতকালে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি (ফাল্গুনের প্রথম সপ্তাহে) বপন করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। বপনের ২০ থেকে ২৫ দিনের মাথায় ফুল আসে। ৪০-৪৫ দিনের মাথায় ফল ধরে। ৭০-৭৫ দিনে ফল সংগ্রহ করা যায়। ফলের গড় ওজন ৭৫০ গ্রাম থেকে ১ কেজি পর্যন্ত হয়। এটি গাছে ১৫-২০টি ফল ধরে। কথা হয় কৃষক আবেদ আলীর সঙ্গে। সে বলে এ অঞ্চলে আমি প্রথম এ গ্রিন চেরি ফলের চাষ করি। গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার অতনু সরকার আমাকে এ ফল চাষ করার জন্য আগ্রহী করে তোলে। সেই আমাকে গ্রিন চেরি ফলরে বীজ সংগ্রহ করে দেয়। এবারই প্রথম ৪০টি গাছ লাগিয়েছি। গাছে ফল এসেছে। অনেকে আমার এ ফল চাষ দেখতে আসছে। অনেকে আবার এ ফল চাষ করবে বলে আমাকে জানিয়েছে। এ ফল মাটিতে ও মাচায় চাষ করা যায়। আমি মাচায় চাষ করেছি। প্রতিটি গাছে ১৫ থেকে ২০টি করে ফল এসেছে। একটি ফলের ওজন ৬০০ গ্রাম থেকে ৮০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়েছে। ফলটি খেতে খুবই সুস্বাদ ও মিষ্টি। তরমুজ ফলের চেয়ে মিষ্টি। খেতে খচখচে ভাব, তরমুজের মতো নরম নয়। খোশাসহ ফলের সম্পূর্ণ অংশ খাওয়া যায়। ফলটির ভেতর-বাহির সবুজ। ফলটি কাটলে ভেতরে বীজের চারপাশে হালকা হলুদ। কৃষক আবেদ আলী আরো বলেন, আগামীতে সে ১ বিঘা জমিতে গ্রিন চেরি চাষ করবে। আবেদ আলীর জমিতে চাষ করা গ্রিন চেরি ফল দেখতে আসা কৃষক মনিরুজ্জামান মনির বলেন, এটা মেলন জাতের ফল। এর আগে আমি রক মেলনের চাষ করেছিলাম। তাই গ্রিন চেরি ফলটি দেখতে এসেছি। অল্প পরিসরে চাষ করব। যদি বাজারজাত করা যায় তাহলে ব্যাপকভাবে এ ফল চাষ করব।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত