প্রস্তাবিত করে তামাকের ব্যবহার ও স্বাস্থ্য ব্যয় বাড়াবে

প্রকাশ : ১৩ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাস হলে নিত্যপণ্যের তুলনায় আরেক দফা সস্তা হবে তামাকপণ্য। তামাক ব্যবহারজনিত অসুস্থতা ও মৃত্যু বাড়বে। তামাক কোম্পানি লাভবান হবে এবং সরকার অতিরিক্ত রাজস্ব আয়ের সুযোগ হাতছাড়া করবে। চূড়ান্ত বাজেটে সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের মাধ্যমে সব ধরনের তামাকপণ্যের দাম কার্যকরভাবে বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদসহ তামাকবিরোধী নেতারা। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া সভাকক্ষে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স-আত্মা আয়োজিত তামাক কর বিষয়ক বাজেট-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসব আলোচনা উঠে আসে। সংবাদ সম্মেলনে প্রজ্ঞা ও আত্মার পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্তর ভেদে দশ শলাকা সিগারেটের খুচরা মূল্য ১.৮ শতাংশ থেকে ১২.৫ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। অথচ সরকারি তথ্যমতে এক বছরের ব্যবধানে খোলা আটা, ব্রয়লার মুরগি, চিনি, ডিম, গুঁড়ো দুধ এবং মসুর ডালের মতো নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে ১৪.৫ শতাংশ থেকে ৭১.৭ শতাংশ পর্যন্ত। ফলে নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্য আরো সস্তা হয়ে পড়বে, মানুষ তামাক ব্যবহারে উৎসাহিত হবে এবং জনস্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিড়ির দাম বাড়ানো হয়নি। এ নিয়ে টানা ৪র্থ বারের মতো পণ্যটির দাম এবং ৭ম বারের মতো করহার অপরিবর্তিত রাখা হলো। প্রতি গ্রাম জর্দার দাম ৫০ পয়সা এবং গুলের দাম ৩০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে এবং সম্পূরক শুল্ক অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, করহার না বাড়িয়ে কেবল খুচরা মূল্য বাড়ানোর কারণে তামাক কোম্পানিগুলো লাভবান হবে এবং সরকার অতিরিক্ত রাজস্ব আয়ের সুযোগ হাতছাড়া করবে। তামাকবিরোধীদের প্রস্তাব অনুযায়ী নিম্নস্তরের সিগারেটে ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক সুনির্দিষ্ট আকারে আরোপ করা হলে সরকার কমপক্ষে ১,৭০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব আয় আহরণ করতে পারত। সম্পূরক শুল্ক ৫৮ শতাংশ নির্ধারণ করায় কোম্পানিগুলো শুধু নিম্নস্তরের সিগারেট থেকেই ৪৮৬ কোটি টাকা বাড়তি আয় করবে। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং জাতীয় তামাকবিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘তামাক করকাঠামো সংস্কারের যে প্রস্তাব আমরা দিয়েছিলাম তার বিন্দুমাত্র প্রতিফলন নেই। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় চূড়ান্ত বাজেটে আমাদের প্রস্তাবসমূহ অন্তর্ভুক্ত করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।