ঢাকা ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সিলেটে জলবদ্ধতায় নগরবাসীর বিড়ম্বনা

সিলেটে জলবদ্ধতায় নগরবাসীর বিড়ম্বনা

দীর্ঘ দাবদাহের পর বৃষ্টিস্নাত হয়েছে সিলেট নগরী। মিলেছে জনজীবনে স্বস্তি। তবে বিভাগীয় নগরী সিলেটে ভয়াবহ জলবদ্ধতায় নগর জীবনে চরম বিড়ম্বনা দেখা দিয়েছে। সড়ক উপচে মানুষের বাসাবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও ড্রেনের পানি ঢুকেছে। মৌসুমের একদিনের ভারি বৃষ্টিতেই চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। আষাঢ়ের শুরুতেই এমন অবস্থায় নগরবাসীকে দুর্ভাবনায় ফেলেছে। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলেছেন, অনেক স্থানে উন্নয়ন কাজ চলছে। তাই পানি আটকে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে নগরের অনেকেই বলছেন, উন্নয়নকাজ হচ্ছে, ভালো কথা। কিন্তু ভরা বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি দ্রুত নামার ব্যবস্থা না রাখাটাই অদূরদর্শীতা। এর ফলে নগরবাসী চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, বেশি পরিমাণ বৃষ্টির কারণে ড্রেন দিয়ে পানি নামতে সময় লাগছে। সিটি করপোরেশনের টিম কাজ করছে। কোথাও ময়লা ও আবর্জনার জন্য পানি আটকে গেলে তা পরিষ্কার করে দেয়া হচ্ছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ শাহ মোহাম্মদ সজিব হোসেন বলেন, গত বুধবার মধ্যরাতে ও সকালে সিলেটে বৃষ্টি হয়। সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৪৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এটা স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত। গতকাল সারাদিন থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে গত বুধবার ভোর রাতের টানা কয়েক ঘণ্টার ভারি বর্ষণে জলমগ্ন হয় নগরীর বিভিন্ন এলাকা। সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্ধিত এলাকা সিলেট-বাদাঘাট সড়ক সংলগ্ন মইয়ারচর, জালালাবাদসহ বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ জলাব্ধতার দরুণ সেই এলাকার মানুষ দুপুরে মানববন্ধন করেছে। এলাকাবাসী জানান, সড়ক ও জনপথের (সওজ) এই সিলেট ও বাদাঘাট সড়কটি বিমানবন্দর বাইপাস সড়ক। সড়কের দুই পাশের খাল ভরাট। সেখানে সড়ক বর্ধিত করার কাজ চলছে। ফলে সেখানকার পানি নামতে না পেরে বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। স্থানে স্থানে জলজটে যানবাহন আটকা থাকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সিলেট সুনামগঞ্জ সড়কের পাঠানটুলা সড়কে এক পাশ পাকা করার কাজ চলছে। অন্য পাশের নিচু সড়কে পানি জমেছে হাটু পরিমাণ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত