চট্টগ্রামের আকাশ শনিবার সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন। দুপুর ১২টার দিকে নগরের কোথাও ভারি আবার কোথাও মাঝারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়। এতে করে নগরের নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। কোনো কোনো সড়ক হাঁটু পরিমাণ পানিতে তলিয়ে গেছে।
এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন দৈনন্দিন কাজে বের হওয়া লোকজন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরের বাকলিয়া, চকবাজার, চান্দগাঁও, আগ্রাবাদ ও রিয়াজউদ্দিন বাজার এলাকার বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। নগরের নালাগুলো দিয়ে পানি না নামায় সামান্য বৃষ্টিতে এমন জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। রিয়াজউদ্দিন এলাকার ব্যবসায়ী দিদারুল আলম বলেন, মাত্র শুরু হলো বৃষ্টিপাত। এরই মধ্যে সড়কে হাঁটু পরিমাণ পানি ওঠে গেছে। টানা বৃষ্টিপাত হলে কী হবে আল্লাহ জানেন। পানির ওঠার কারণে দোকানগুলোতে কাস্টমার নেই। আমরাও কাজে বের হতে পারছি না।
এদিকে চট্টগ্রাম আবহাওয়া কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের একজন কর্মকর্তা বলেন, বৃষ্টিপাতের রেকর্ড প্রতি ৩ ঘণ্টা পরপর হিসেব করা হয়। সবশেষ দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে সহকারী আবহাওয়াবিদ সুমন সাহা জানান, চট্টগ্রামের আকাশ মেঘলা থেকে সাময়িক মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে। সঙ্গে কোথাও অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। চট্টগ্রামে রাত ও দিনের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। একই সঙ্গে চট্টগ্রাম নদী বন্দরকে ১ নম্বর নৌ সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।