বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট সেরা ৫২ স্টার্টআপ পেল ৭ কোটি টাকার অনুদান

প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

তরুণ উদ্যোক্তা অর্থাৎ স্টার্টআপদের অনুপ্রাণিত করতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে ‘উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (রউঊঅ)’ তৃতীয় বারের মতো আয়োজন করে ‘বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট (বিগ)’। এই আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য হলো তরুণ উদ্যোক্তা অর্থাৎ স্টার্টআপদের উদ্ভাবনী ধারণাকে উৎসাহিত করে দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা। ‘ডেয়ার টু স্ট্যান্ড বিগ’ স্লোগানটি নিয়ে আয়োজিত বিগ ২০২৩ এর সারাদেশে ক্যাম্পেইন শেষে প্রাথমিক পর্যায়ে ৬ হাজার ৮৪৬টি স্টার্টআপ ও উদ্ভাবক এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করে। সবশেষে, বিগ ২০২৩ এর সেরাদের সেরা স্টার্টআপ হিসেবে যৌথ বিজয়ী হয় ‘ফ্যাব্রিক লাগবে লিমিটেড’ এবং ‘মার্কোপলো এআই’। উল্লেখ্য, ওয়ান বিগ উইনার ২০২৩ হিসেবে এই যৌথ বিজয়ীর প্রত্যেককে ১ কোটি টাকা করে দেয়া হয়। এছাড়া, সেরা ৫০টি স্টার্টআপের প্রত্যেকেই ১০ লাখ টাকা করে মোট ৫ কোটি টাকার অনুদান পায়। অর্থাৎ, সেরা ৫২টি স্টার্টআপকে মোট ৭ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করে বিগ-২০২৩ আয়োজক। বিগ-২০২৩ এর গ্র্যান্ড ফিনালে রাজধানী ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় ৩ ঘণ্টার জমকালো একটি অ্যাওয়ার্ড বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শেষ হয় ‘বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট (বিগ) ২০২৩’ এর এবারের আসর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, এমপি। অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এমপি। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন। আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক (গ্রেড-১) রণজিৎ কুমার এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্ম সচিব মো. আলতাফ হোসেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান এমপি বলেন, যেকোনো দেশ সফল হতে হলে আমাদের ইতিহাস জানতে হয়। তিনি বলেন, অনেকেই ভেবেছিলেন যে ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিণত হওয়া সম্ভব না। কিন্তু আমরা সেটা সম্ভব করেছি। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে আমরা কীভাবে পৌঁছে যাব, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। সরকারের কাজ হলো অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে দেয়া আর বেসরকারি খাতকে সুযোগ দিয়ে দেয়া। তিনি বলেন, আমরা অনুকূল পরিবেশ পেলে ‘আমরা পারি’। তিনি আরো বলেন, ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আইডি কার্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ব্যাংক লোন সুবিধাসহ বিভিন্ন সুযোগ গ্রহণ করতে পারছে তারা। সভাপতির বক্তব্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন, সবার সম্মিলিত চেষ্টার ফসল হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ। তিনি বলেন, আমরা ২০১৫ সালের শুরু থেকে ১০ বছরে প্রায় ৪০০ স্টার্টআপ আইডিয়া প্রকল্প থেকে ফান্ড করেছিলাম। এর থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ স্টার্টআপ এখনো বেঁচে আছে ও লড়াই করে টিকে আছে। তাদের মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ স্টার্টআপ প্রি-সীড এবং গ্রোথ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে।