নির্মল বায়ুর অধিকার থেকে বঞ্চিত ঢাকাবাসী

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা

প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্মল বায়ু মানুষের অধিকার। ঢাকা শহরের বাসিন্দারা এ অধিকার থেকে বঞ্চিত। জৈব জ্বালানি পোড়ানোর কারণে বায়ুতে বিষাক্ত গ্যাস নির্গত হচ্ছে, যা বায়ুর গুণগত মান নষ্ট করছে। তাই জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিত করা গেলে সবার জন্য নির্মল বায়ু ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। গত শনিবার পিআইবিতে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস) ও আরবান প্রোগ্রাম, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের যৌথ আয়োজনে ‘নির্মল বায়ু ও জ্বালানি নিরাপত্তায় নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসার’ বিষয়ক এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের সমন্বয়ক শরীফ জামিল। বিশেষ অতিথি ছিলেন পিআইবির পরিচালক (অ্যাডমিন) মো. জাকির হোসেন। বৈঠকে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির জ্বালানি গবেষণা কেন্দ্রের (সিইআর) পরিচালক শাহরিয়ার আহমেদ চৌধুরী। শরীফ জামিল বলেন, জ্বালানি একটি কৌশলগত পণ্য। টেকসই নবায়নযোগ্য জ্বালানির অভাবে ও জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতার ফলে বর্তমানে জ্বালানি নিরাপত্তা হুমকির মুখে। জ্বালানি নিরাপত্তায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিকল্প নেই। অন্যদিকে আমাদের মনে রাখতে হবে জ্বালানি নিরাপত্তা দিতে গিয়ে যেন পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। এ বিষয়ে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার এগিয়ে আসা উচিত। আর্থ সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মাদ মামুন মিয়া বলেন, নির্মল বায়ু নবায়নযোগ্য জ্বালানি এখনকার সময় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, যা কি না জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার প্রধান পদক্ষেপ। এ বিষয়ে নীতি-নির্ধারণী পর্যায়কে দায়িত্বশীল করার পাশাপাশি সবাইকে সচেতন করতে হবে।

বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোটের (বিএনসিএ) সদস্যসচিব ও সেভ আওয়ার সি’র মহাসচিব মুহাম্মদ আনোয়ারুল হক বলেন, প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় নবায়নযোগ্য শক্তির প্রসার অতি জরুরি। উপকূলীয় এলাকায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো আমাদের পরিবেশের জন্য অত্যন্ত হুমকি। সামুদ্রিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও জ্বালানি নিরাপত্তায় বিশেষ নজর দিতে হবে।

বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, গবেষক পরিবেশবাদী প্রমুখ। বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. গুলশান আরা লতিফা গোলটেবিল বৈঠকটির আয়োজকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপ্তি ঘোষণা করেন।