ঢাকা ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বঙ্গবাজার : ঝড়-বৃষ্টিতে ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ

বঙ্গবাজার : ঝড়-বৃষ্টিতে ব্যবসায়ীদের দুর্ভোগ

‘বেশি রোদ উঠলে গরমে সিদ্ধ হয়ে যাই। আবার বৃষ্টি এলে ঠান্ডা বাতাসে শীত লাগে। বৃষ্টির পানি ত্রিপল-শামিয়ানা গড়িয়ে দোকানের চারপাশে পড়ে। অনেক সময় বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া হলে দোকানের মালামালও ভিজে যায়। দোকানের সামনে কাদাপানিতে মাখামাখি অবস্থার সৃষ্টি হয়। এমন পরিবেশে ব্যবসা করা খুবই কঠিন।’ গতকাল দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবাজারের মতিউর গার্মেন্টের দোকানি কামাল হোসেন এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে এমন দুর্দশার মধ্যে ব্যবসায়ী কার্যক্রম চলছে। রোদ, ঝড়বৃষ্টি সবই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। হাজারো ব্যবসায়ী ত্রিপল, কাপড়ের শামিয়ানা টানিয়ে চৌকি পেতে ব্যবসা করছেন। এখন সিটি করপোরেশন দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ করলে ব্যবসায় গতি ফিরবে।’ গত ৪ এপ্রিল সকালে বঙ্গবাজারে (বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স, গুলিস্তান ইউনিট, মহানগর ইউনিট ও আদর্শ ইউনিট) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে বঙ্গবাজারের পাশের এনেক্সকো টাওয়ার মার্কেট, মহানগর শপিং কমপ্লেক্স, বঙ্গ ইসলামিয়া মার্কেট ও বঙ্গ হোমিও মার্কেটে। এতে মার্কেটগুলো পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে ৩ হাজার ৮৪৫ জন ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ব্যবসায়ীদের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে ৩০৩ কোটি টাকা। বঙ্গবাজার জায়গাটির মালিক ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। সংস্থাটির রাজস্ব বিভাগ সূত্র জানায়, অগ্নিকাণ্ডের পরপরই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করেছে ডিএসসিসি। তখন তাদের আর্থিকভাবে সহযোগিতাও করা হয়েছে। এখন ওই জায়গায় আটতলা ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী জুলাই মাসের মধ্যে নকশা চূড়ান্ত হতে পারে। তারপর দরপত্র আহ্বান করে মার্কেটটি নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে। গতকাল দেখা যায়, বঙ্গবাজারে খালি জায়গায় চৌকি বিছিয়ে এবং উপরে ত্রিপল টানিয়ে হাজারো দোকানি ব্যবসা করছেন। তাদের প্রায় ৯৯ শতাংশই কাপড়ের দোকান। প্রতিটি দোকানের সামনে হাঁটাচলার জন্য তিন ফুট করে জায়গা রাখা হয়েছে। সেখানেই ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করছেন ক্রেতারা। তবে চারপাশ দিয়ে খোলা থাকায় একটু বেশি বাতাস হলেই ত্রিপল উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। একজন খুচরা বিক্রেতা বলেন, বঙ্গবাজার থেকে পাইকারি মালামাল নিয়ে খুচরা বিক্রি করি। তবে আগে যে পরিমাণ মালামাল বঙ্গবাজারে পাওয়া যেত, অগ্নিকাণ্ডের পর তেমন মালামাল পাওয়া যাচ্ছে না। আর রোধ, বৃষ্টিতে ঘুরে ঘুরে কেনাকাটাও কষ্টের। সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের পর ব্যবসায়ীরা যাতে কোনোমতে টিকে থাকতে পারেন সেজন্য অস্থায়ীভাবে দোকান বসানোর সুযোগ করে দিয়েছে ডিএসসিসি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত