ঢাকা ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সিলেটে চার নদীতে পানি কমছে বাড়ছে কুশিয়ারায়

সিলেটে চার নদীতে পানি কমছে বাড়ছে কুশিয়ারায়

সিলেটে সুরমা, ধলাই, সারী ও লোভা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট পয়েন্টে এখনো বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যসব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। সিলেট সদর পয়েন্টে সুরমার পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে কুশিয়ারা নদীতে পানি বাড়ছে। বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় নগরের নিম্নাঞ্চলে জমে থাকা জলাবদ্ধতার পানি বেশিরভাগ এলাকা থেকে নেমে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ১২৫ দশমিক ২ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ৩ ঘণ্টায় সিলেটে বৃষ্টিপাত হয়েছে শূন্য দশমিক ২ সেন্টিমিটার। তবে সেদিন সকাল ১০টার পর থেকে সিলেটে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সকালে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও সিলেট আবহাওয়া অফিস থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো পৃথক বার্তায় এসব তথ্য জানা গেছে। বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে গোয়াইনঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

ভোর ৬টায় কানাইঘাট পয়েন্টে সুরমা নদীর পানি ছিল ১৩ দশমিক ০৫ সেন্টিমিটার। এ পয়েন্টে ১২ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটারের বেশি হলে বিপৎসীমার ওপর ধরা হয়। তবে সকাল ৯টায় মাত্র ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে কানাইঘাট পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার পানি কমে ১২ দশমিক ৯৬ সেন্টিমিটার অর্থাৎ বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, সুরমা নদীর সিলেট সদর পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার। গত বুধবার ভোর ৬টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সুরমা নদীর ওই পয়েন্টে পানি ১০ দশমিক ৩৩ সেন্টিমিটার উচ্চতায় প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ১৩ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে লোভানদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছে। সারী নদীর সারিঘাট পয়েন্টে গত ১৮ ঘণ্টায় পানি কমেছে ৬১ সেন্টিমিটার। গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় ১১ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। গোয়াইনঘাট উপজেলা ত্রাণ ও দুর্যোগ শাখার কর্মকর্তা (পিআইও) শীর্ষেন্দু পুরকাস্থ বলেন, আমাদের কাছে পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। উপজেলাজুড়ে ৫৬টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ বিপুলসংখ্যক উদ্ধারকারী (রেসকিউ) টিম রয়েছে। আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি। উপজেলার জনপ্রতিনিধিদের জরুরি বার্তা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলোতে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত