ঢাকা ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধের দাবি

ঈদযাত্রায় ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বন্ধের দাবি

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমাতে ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল বন্ধে কার্যকরব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান সংগঠনটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। একই সঙ্গে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।

ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের পরিবহনে রাজধানীর লক্কড়ঝক্কড় কোনো গাড়ি ঢাকা শহরের বাইরে রিজার্ভে পাঠানো যাবে না বলে ইতোমধ্যেই রাজধানীর সব বাস মালিককে এ নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। গত ১৯ জুন ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির ওই সিদ্ধান্তের পর ঈদে ফিটনেসবিহীন লক্কড়ঝক্কড় যানবাহন চলাচল বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাল বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। বিবৃতিতে যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানায়, দেশে গণপরিবহন সংকটের সুযোগ কাজে লাগিয়ে কতিপয় অসাধু পরিবহন মালিক প্রতি বছর ঈদে ফিটনেসবিহীন বাস ও লঞ্চ রংচং করে রাস্তায় এবং নদীতে নামায়। এসব যানবাহন মাঝপথে দুর্ঘটনায় পতিত হলে অসংখ্য মানুষের প্রাণহানি ঘটে। যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, কিছু অতি লোভী পরিবহন মালিক অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চালাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। ভাড়া নৈরাজ্যকারীদের বিরুদ্ধে সরকার প্রতি বছর ঈদে কাগুজে বাঘের মতো হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেও দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতার কারণে এবারের ঈদেও সব পথে দুই-তিন গুণ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য হতে পারে। পথে দীর্ঘ যানজটের ভোগান্তি তৈরি হয়। এছাড়া অতিরিক্ত মুনাফার লোভে একজন চালককে বিশ্রামহীনভাবে ১০ থেকে ১২ বা ১৫ ঘণ্টা যানবাহন চালাতে বাধ্য করার কারণে এবং অদক্ষ চালক দিয়ে আনফিট যানবাহন চালানোর কারণে সড়ক ও নৌ দুর্ঘটনায় প্রতি বছর ঈদে কয়েকশ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে ২০২২ সালে ঈদুল আজহায় ৩১৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৯৮ জন নিহত, ৭৭৪ জন আহত হয়েছিলেন। এবারও ঈদযাত্রার বহরে মোটরসাইকেল যুক্ত থাকায় সড়ক দুর্ঘটনা ভয়াবহ হারে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সর্তক করে সংগঠনটি। মোজাম্মেল হক বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী এবং বেশি ভাড়া আদায়ের লোভে প্রতি বছর সড়ক ও নৌপথে ফিটনেসবিহীন যানবাহনে যাত্রী বহন, পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী বহন, নৌ পথে পর্যাপ্ত বয়াবাতি ও জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম না থাকায় দুর্যোগপূর্ণ নৌ মৌসুমে নৌ-পথের যাত্রীরা ভয়াবহ ঝুঁকিতে রয়েছে। লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই বন্ধে কঠোর নজরদারি রাখার দাবি জানান তিনি। এছাড়া আনফিট ও ঝুঁকিপূর্ণ নৌযান চলাচল বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানানো হয় বিবৃতিতে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত