ঢাকা ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দেশের খাদ্য ও পুষ্টি উন্নয়নে সহায়তা করছে ইইউ

দেশের খাদ্য ও পুষ্টি উন্নয়নে সহায়তা করছে ইইউ

দেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইইউ’র আর্থিক সহায়তায় দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে মা ও শিশু ছাড়াও কিশোর-কিশোরীদের টেকসই পুষ্টি অবস্থা এবং অপুষ্টির চ্যালেঞ্জ নিরসনে কাজ করছে কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড বাংলাদেশ। গতকাল রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তায় বাংলাদেশকে উন্নত করতে সরকার এবং অন্যান্য সকল অংশীজনের সঙ্গে কার্যকর সমন্বয় ঘটাতে জাতীয় পর্যায়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা এ কথা জানান। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের কনসোর্টিয়াম প্রোগ্রাম ম্যানেজার ইমরানুল হক। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন জাতীয় ও স্থানীয় উভয় পর্যায়ে পুষ্টি সুশাসনব্যবস্থা জোরদার করতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করছে, যা দেশকে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। ডিসেম্বর ২০২১ সালে টোকিওতে অনুষ্ঠিত নিউট্রিশন ফর গ্রোথ (এনফরজি) সামিটে এ কমিশন অপুষ্টির সকল অবস্থা দূরীকরণে ২০২১-২০২৪ সালে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ইউরো প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। এই সহায়তা জরুরি প্রয়োজনীয়তা, অপুষ্টির কারণগুলো নিরসন এবং ইইউ সহযোগী দেশসমূহে দীর্ঘমেয়াদি খাদ্যপদ্ধতি রূপান্তরে অবদান রাখবে বলেও জানান তারা। কর্মশালায় বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হুইটলি বলেন, কোভিড-পরবর্তী সময় থেকে সমতা, সহনশীলতা এবং টেকসই খাদ্য ও স্বাস্থ্য পদ্ধতির দিকে নজর দেয়া খুবই জরুরি। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার সহযোগী সংস্থা, যেমন- কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড দেশের খাদ্যপন্থা, সামাজিক আচরণ পরিবর্তনের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা প্রচারে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখছে। আমরা বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর ও অপুষ্টি মুক্ত ভবিষ্যৎ তৈরি করতে চাই। সেই সঙ্গে সরকারি বিভিন্ন সেবা নিশ্চিত করতে জনগণ এবং বিভিন্ন সরকারি দপ্তরগুলোকে সম্পৃক্ত করে নির্বাচিত স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি এবং সুশীল সমাজ প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সমন্বিত পন্থায় ভূমিকা রাখছে বলেও জানিয়েছেন বক্তারা। আয়োজকরা জানিয়েছেন, কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইড অতি দারিদ্র্যসীমায় বসবাসকারী জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য এবং পুষ্টির অবস্থার উন্নয়নে নগর এবং গ্রামের মধ্যে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে স্বাস্থ্য ও খাদ্য পদ্ধতি উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। কর্মশালায় পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান ছাড়াও বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এবং প্রতিনিধি দলের প্রধান চার্লস হুইটলি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মমতাজ উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত