দ্রুত পশু জবাই সম্পন্ন করার আহ্বান তাপসের

প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আমরা কোনো দায় চাপানো বা দায় নিয়ে কোনো ধরনের বক্তব্য দিতে চাই না। আমাদের দায়িত্ব নিয়ে আমরা অত্যন্ত ওয়াকিবহাল আছি বলে মন্তব্য করেছেন ডেঙ্গু প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। গতকাল সকালে খিলগাঁও রেলওয়ে কাঁচাবাজার-সংলগ্ন ১১ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রের (এসটিএস) উদ্বোধন শেষে তিনি একথা বলেন। এ সময় ঈদের দ্বিতীয় দিনের মধ্যে কোরবানির পশু জবাইয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ঢাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি আরো বলেন, আমি ঢাকাবাসীর কাছে বিনীত নিবেদন করব, যেন দুই দিনের মধ্যেই পশু কোরবানির কার্যক্রমটা সম্পন্ন করা হয়। আমাদের দীর্ঘদিনের একটি সংস্কৃতি যে, তৃতীয় দিনেও কোরবানি দেয়া হয়। আমরা যেন সেখান থেকে একটু সরে আসি। আমরা যেন সব কোরবানি প্রথম এবং দ্বিতীয় দিনের মধ্যেই সম্পন্ন করি। কারণ একটানা ৭২ ঘণ্টা (ঈদের রাত হতে পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ শুরু করা হয়) কাজ করার পর আমাদের জনবলকে বিশ্রাম দেয়া অত্যন্ত বাঞ্ছনীয়। মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, গত বছরও আমরা সফলতার সঙ্গে এডিস মশার বিস্তৃতি মোকাবিলা করেছি। আমাদের সব প্রস্তুতি, সক্ষমতা এবং পরিকল্পনা আছে। প্রত্যেক ওয়ার্ডেই আমাদের নির্দিষ্টসংখ্যক জনবল নিয়োজিত রয়েছে। সকালে সাতজন বিকালে ছয়জন এবং একজন সুপারভাইজার দিনব্যাপী তদারকি করে থাকেন। এরপর আমরাও তদারকি করে থাকি। ঢাকাবাসীকে জনগণের ডেঙ্গুর প্রজননস্থল সম্পর্কিত তথ্য প্রদানের আহ্বান জানিয়ে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এ সময় বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আমরা যে তথ্য (ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর তালিকা) পাচ্ছি এর বাইরেও আমরা ঢাকাবাসীকে অনুরোধ করব, আপনাদের নজরে যদি কোথাও পানি জমে থাকে বলে দেখতে পান অথবা এডিস মশার লার্ভা থাকতে পারে বলে মনে হয়, তাহলে আমাদের তথ্য দিন। আমাদের জনবল প্রতিটি ওয়ার্ডেই নিয়োজিত রয়েছে। আপনারা তথ্য দিলে তারা দ্রুত সেই জায়গায় যেতে পারবে এবং নিধন করতে পারবে। তিনি আরো বলেন, লার্ভিসাইড, এডাল্টিসাইড করতে পারবে, যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারবে। এছাড়া আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা শুরু হয়েছে। আমরা অভিযান চালিয়ে যাব। আমরা ব্যাপক জায়গায় লার্ভা পাচ্ছি, জরিমানা করছি। আমরা অভিযানটা চলমান রাখব, যাতে করে জনগণ, দায়িত্বশীল মহল, বিভিন্ন সংস্থা এবং বিভিন্ন আবাসন কোম্পানি, সরকারি আবাসন সংস্থা তারা যেন আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী, ২ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সুয়ে মেন জো প্রমুখ।