বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজন

শিশুতোষ গীতি আলেখ্য ‘ওরা অকারণে চঞ্চল’

প্রকাশ : ২২ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শিশুশিল্পীদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে গীতি আলেখ্য ‘ওরা অকারণে চঞ্চল’। বাংলা সাহিত্যের প্রধানতম লেখকদের মধ্যে অন্যতম পাঁচজন কবি যারা গান ও সুরে বাংলা গানকে সমৃদ্ধ করেছেন তাদের রচিত কিছু গান ও গানের সাথে নৃত্য দিয়ে সাজানো হয় শিশুতোষ গীতি আলেখ্য ‘ওরা অকারণে চঞ্চল’। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ও প্রযোজনা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় গীতি আলেখ্য পরিবেশিত হয় জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে। পরে শিশুদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক ও শিশুবন্ধু লিয়াকত আলী লাকী। তিনি বলেন, ‘আমাদের মোট জনগোষ্ঠীর ৪৫ শতাংশই শিশু, শিশুদের জন্য আমরা নানামুখী কার্যক্রম পরিচালনা করছি।’ পরে নতুন পূর্ণাঙ্গ একটি শিশু বিভাগ করার ঘোষণা দেন মহাপরিচালক। অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য উপস্থাপন করেন প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক সোহাইলা আফসানা ইকো। তিনি বলেন, পঞ্চকবি যাদের লেখনিতে শিশু ভাবনা, কল্পনা ও আকাঙ্ক্ষার অধিকতর প্রতিফলন হয়েছে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, রজনীকান্ত সেন, অতুল প্রসাদ সেন, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের রচিত গান ও নৃত্য দিয়ে সাজানো অনুষ্ঠানমালা গীতি আলেখ্য ‘ওরা অকারণে চঞ্চল’ পরিবেশন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশুদল। পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের শুরুতেই কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের চারটি গান পরিবেশিত হয় ‘আজ ধানের ক্ষেতে রৌদ্র ছায়ায় লুকোচুরি খেলা’ হা রে রে রে ’রিম ঝিম ঘন ঘন রে’ দলীয় পরিবেশনা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শিশুসংগীত দল। এর পর পরিবেশিত হয় কবিগুরুর গানের সাথে দলীয় নৃত্য ‘ওরা ওকারণে চঞ্চল ‘। পরে পরিবেশিত হয় দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের লেখা গান ‘নূতন রতনে ভূষণে যতনে’। প্রকৃতিকে নিয়ে তার লেখায় রয়েছে বাংলার অপূর্ব বর্ণনা। এসব গান শিশুমনকে আকৃষ্ট করে, এমনি একটি বসন্তের গান এটি ‘নূতন রতনে ভূষণে যতনে’। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন তাহফিম জুনাইরা আনশী, নাবিদ রহমান তূর্য, তামিম আহমেদ বৃন্ত এবং তৃয়াশী সরকার।