ঢাকা ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জমজমাট জাতীয় বৃক্ষমেলা

১৮ দিনে ৭ লাখ চারা বিক্রি

১৮ দিনে ৭ লাখ চারা বিক্রি

দুই সপ্তাহের ব্যবধানে জমে উঠেছে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা। রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের পুরোনো বাণিজ্যমেলা মাঠে ৫ জুন থেকে শুরু হয় বৃক্ষমেলা। শুরুর দিকে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে প্রথম সপ্তাহে বৃক্ষপ্রেমী ও ক্রেতাদের আনাগোনা ছিল কম। তবে গেল কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কিছুটা কমার কারণে বৃক্ষপ্রেমীরা ছুটছেন মেলায়। এবারের বৃক্ষমেলার প্রতিপাদ্য ‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি’। গত শুক্রবার ছুটির দিন থাকায় মেলায় লোকজনের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অনেকেই যাচ্ছেন মেলায় পছন্দের গাছটি কিনতে। শহরের অল্প জায়গা থাকায় ছাদ বাগানের উপযোগী গাছের চারার চাহিদা বেড়ে গেছে। আয়োজকরা জানান, এ বছরে মেলায় মোট ১৩১টি স্টল রয়েছে। সরকারি সাতটি এবং বেসরকারি মালিকানাধীন ৯০টি প্রতিষ্ঠান এসব স্টল দিয়েছে। রয়েছে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার এবং বৃদ্ধদের বিশ্রাম কক্ষ। এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকায় প্রায় ৬ লাখ ৯৮ হাজার চারা বিক্রি হয়েছে। মেলায় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ন্যাশনাল হারবেরিয়াম, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন ও বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট। মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, প্রবেশ পথ দিয়ে ঢুকলেই হাতের ডান পাশে বন অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম এবং তথ্যকেন্দ্র। বাম পাশে রয়েছে জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের স্টল। সেখানে শোভা পাচ্ছে ক্যাকটাস, ভুট্টা, বনসাই, বটসহ নানা বিরল প্রজাতির গাছ। সবুজের বিশাল সমারোহে পরিণত হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ। বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখা যায়, বরিশাল নার্সারিতে ইন্দোনেশিয়ান আম, চিয়াংমাই, বিএন ৭, আলফানসো, ডকমাই শ্রীমুয়াং, রেড আইভরি, ডাবল ক্যাপ্টিন, কাটিমন আমের চারা দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করছে। এছাড়া বিক্রি হচ্ছে বারমাসি নাশপাতি, আপেল, অ্যাভোকাডো, পার্সিমনের বিভিন্ন জাতের চারা। চারাগুলো বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকায়। এ ছাড়াও মিলছে মধু, খাঁটি সরিষার তেল, আচারসহ ঘরে তৈরি নানান সামগ্রী। স্টল মালিকরা জানান, শুরুর চেয়ে এখন বেচাকেনা বাড়ছে। তবে যখনি বৃক্ষমেলা জমে উঠেছে তখনই কোরবানির ঈদের কারণে ২৭ তারিখ থেকে ছুটি, ফলে কিছুটা লোকসানের সম্মুখীন হতে হবে তাদের। বন অধিদপ্তরের সহকারী বন সংরক্ষক দ্বীপন চন্দ্র দাস বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি থেকে পরিত্রাণ পেতে এবং বেশি বেশি গাছ লাগানোকে উৎসাহিত করতে বন অধিদপ্তরের এ আয়োজন। এ বছর মেলায় অর্কিড, ফলজ ও শোভাবর্ধক গাছের চারা প্রচুর বিক্রি হচ্ছে। মেলার প্রথম পর্ব চলবে ২৬ জুন পর্যন্ত। আবার ঈদের পর ১ জুলাই শুরু হয়ে ১২ জুলাই শেষ হবে বৃক্ষমেলার আয়োজন। মেলা সবার জন্য উন্মুক্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে চলছে রাত ৮টা পর্যন্ত।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত