ঢাকা ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

‘ই-সিগারেট জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি’

‘ই-সিগারেট জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি’

বাংলাদেশে ই-সিগারেটের বাজার ও ব্যবহার ঝড়ের গতিতে বাড়ছে। তামাক কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন অপপ্রচার ও কৌশলী ভূমিকার কারণে অনেক তরুণ-তরুণী জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর নতুন এই তামাক পণ্যের প্রতি আসক্ত হচ্ছে। ফলে টিন, নিকেল, ক্যাডিয়াম, লেড, মার্কারিসহ বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান সম্বলিত ই-সিগারেট বাংলাদেশে বর্তমানে জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতকাল রাজধানীর বনানীর প্লাটিনাম গ্র্যান্ড হোটেলে আয়োজিত ‘ই-সিগারেটের আসক্তি ও স্বাস্থ্যক্ষতি: জনস্বাস্থ্য রক্ষায় উপায়’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভায় এই অভিমত ব্যক্ত করেন বক্তারা। ই-সিগারেটের কারণে দেশে ক্যান্সার, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোকসহ নানা রোগের ঝুঁকি বাড়ছে ভয়াবহভাবে। তামাকবিরোধী কর্মী, তামাক নিয়ন্ত্রণ গবেষক এবং জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এমতাবস্থায় যথাযথ আইনের অনুপস্থিতি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রয়োজনীয় মনিটরিংয়ের অভাবে ই-সিগারেট দেশের তরুণ-তরুণীদের জন্য সর্বনাশা হয়ে উঠছে। ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির টোব্যাকো কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ সেল (টিসিআরসি), ইন্টার প্রেস নেটওয়ার্ক (আইপিএন) এবং ইনিশিয়েটিভ ফর পাবলিক হেলথ রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশন (আইপিএইচআরসি) এর যৌথ আয়োজনে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে টিসিআরসির প্রকল্প ব্যবস্থাপক ফারহানা জামান লিজা বলেন, বাংলাদেশে ই-সিগারেট ব্যাপক আকারে বিস্তৃত হচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর ই-সিগারেটের লাগাম টেনে ধরার জন্য সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গী প্রয়োজন। আলোচনায় প্যানেল আলোচক ও অন্যান্য বক্তারা ফারহানা জামান লিজার বক্তব্য ও দাবিকে সমর্থন করে বলেন, দেশের তরুণ প্রজন্মকে রক্ষা করতে বাংলাদেশে ই-সিগারেটকে এখনই নিষিদ্ধ করতে হবে। ফারহানা জামান লিজা তার উপস্থাপনায় বলেন, তামাক কোম্পানিগুলোর বিভিন্ন কূটকৌশলের কারণে বাংলাদেশে ই-সিগারেটের ব্যবহার ও বাজার জ্যামিতিক হারে বিস্তৃত হচ্ছে। ই-সিগারেটের প্রসারের জন্য নাটক, সিনেমা, ওয়েব সিরিজ এবং ওটিটি প্লাটফর্মের মাধ্যমেও কৌশলী প্রচারণা চালানো হচ্ছে। দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও ই-সিগারেটের প্রচারণায় ব্যবহার করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত