ঢাকা ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

৪ বছরেও শেষ হয়নি খুলনা কিচেন মার্কেটের নির্মাণকাজ

৪ বছরেও শেষ হয়নি খুলনা কিচেন মার্কেটের নির্মাণকাজ

চার বছরেও শেষ হয়নি খুলনার খালিশপুর চিত্রালী কিচেন মার্কেটটির নির্মাণকাজ। প্রকল্পের কাজ বন্ধ থাকায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে তারা মার্কেট সংলগ্ন রাস্তায় ও তার আশপাশে খোলা আকাশের নিচে ছাউনি দিয়ে ব্যবসা করছেন। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তেমনই যানবাহন চলাচলের পথটি বন্ধ রয়েছে। মাছ ও মুরগিরসহ বর্জ্যের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ওই এলাকার বসবাসকারী ও পথচারীরা। খালিশপুর পৌর সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি হাসান হাফিজুর রহমান বলেন, মার্কেট নির্মাণের জন্য উচ্ছেদের সময় ব্যবসায়ীদের পুর্নবাসনের আশ্বাস দেওয়া হলেও চার বছরেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১৯ সালে মার্কেটের নির্মাণকাজ শুরু হয়। কাজ শুরুর ২ বছরের মাথায় বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ব্যবসায়ীরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। সেই সময়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ যথাযথ প্রক্রিয়ায় করেনি। ১১ মাসে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ২৩ মাসেও কাজ শেষ হয়নি। ঠিকাদারের ব্যর্থতার কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর আরো প্রায় ২ বছর কেটে গেছে। ৪ বছরে ৫০০ ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। শতাধিক ব্যবসায়ী পুঁজি হারিয়ে চলে গেছেন। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি বাড়িওয়ালারাও ক্ষতিগ্রস্ত। মাছ, মুরগির বর্জ্যের গন্ধে সড়কে মানুষের চলাচলে সমস্যা হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, খালিশপুর পৌর সুপার মার্কেটটি (চিত্রালী কিচেন) নতুনভাবে গড়ে তুলতে ৯ কোটি ৬০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু করে কেসিসি। নানা প্রক্রিয়া শেষে প্রকল্পটি অনুমোদনের পর বিএমডিএফের আওতায় মিউনিসিপ্যাল গভর্ন্যাস সার্ভিসেস প্রজেক্টের (এমজিএসপি) অর্থায়নে কাজটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এমএসই-এমডিই (জেভি)। ২০১৯ সালের ১২ জুন কার্যাদেশ দেওয়া হয়। পুরোনে ামার্কেট অপসারণসহ নানা জটিলতায় মার্কেট নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের ৩১ মার্চ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু তা পারেনি ঠিকাদার। পরে দুই দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২১ সালের ৩০ মে পর্যন্ত করা হয়। বেজমেন্টসহ চারতলা ভিত্তির (ফাউন্ডেশন) মার্কেটটি প্রাথমিকভাবে সেমিবেজমেন্টসহ একতলা করার কথা। কিন্তু কাজের গতি অত্যন্ত মন্থর, যা দাখিলকৃত হালনাগাদ কার্যপরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল না। এদিকে চলতি বছরে খালিশপুর পৌর সুপার মার্কেটের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্নের উদ্যোগ নিয়েছে খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি)। মাংস বিক্রেতা ইউনুস আলী বলেন, আগে জমজমাট ব্যবসা ছিল। কিন্তু মার্কেট ভেঙে ফেলার পর পাশে গলিতে মাংস বিক্রি করতে হচ্ছে। এখন আর তেমন ক্রেতা নেই। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী সাহাবুল আলম বলেন, করোনার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ফলে কাজ শেষের আগেই প্রকল্পটি বাতিল হয়ে যায়। তবে পুনরায় প্রকল্পের কাজ শেষ করতে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। ঈদের পর পুরোদমে কাজ শুরু হবে বলে তিনি আশাবাদী। প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান বলেন, চারতলা ফাউন্ডেশনের মার্কেটটির বেজমেন্ট করা হলেও গ্রান্ড ফ্লোরের কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। ঠিকাদার তাহিদুল ইসলাম ঝন্টু বলেন, মার্কেটের বেজমেন্ট এবং পিলারের কাজ শেষ করেছিলাম। তবে করোনার কারণে কাজ ঠিকমতো করতে পারিনি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত