ব্যস্ততায় আগৈলঝাড়ার কামারপাড়া

প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বরিশাল ব্যুরো

আর দুই দিন পর পবিত্র ঈদুল আজহা। আর এ ঈদ মানেই পশু কোরবানি। তাই পশু জবাইয়ের কাজে প্রয়োজন হয় দা, বঁটি, ছুরি, চাকু, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জামের। আগুনে পোড়ানো নরম লোহায় হাতুড়ি পেটানো ঠুং ঠাং শব্দে দিন-রাত ব্যস্ততায় সময় পার করছেন আগৈলঝাড়ার কামার শিল্পীরা। বিভিন্ন বাজার ও কামারপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, আগুনের তাপে লাল লোহায় পিটুনিতে সরগরম হয়ে উঠেছে কামারের দোকানগুলো। তবে এ বছর লোহা আর কয়লার দাম বেশি হলেও সেই তুলনায় বেশি মজুরি নিতে পারছেন না তারা। তাই বেশি লাভের আশা করছেন না দোকানিরা। বর্তমানে ভালো মানের প্রতিটি দা তৈরিতে মজুরি নেওয়া হচ্ছে ৩০০ থেকে ৬০০ টাকা পর্যন্ত। চাকু তৈরিতে নেওয়া হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, বড় ছুরি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা এবং বঁটি তৈরিতে হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা মজুরি নেওয়া পর্যন্ত। রাজিহার গ্রামের কামার শিল্পী অশোক সরকার, বাসুদেব দাশ জানান, কোরবানির দিন যত ঘনিয়ে আসছে কাজের ব্যস্ততা ততই বাড়ছে।

অধিক পরিশ্রম হলেও বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে এই সময়ে বাড়তি রোজগারের আশায় পথ চেয়ে থাকেন কামারপাড়ার শিল্পীরা। অশোক সরকার আরো জানান, এখন ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড়। কামারদের কেউ ব্যস্ত নতুন দা-বঁটি তৈরিতে, আবার কেউ ব্যস্ত পুরোনো দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতিতে শান দিতে। তবে নতুন কাজের চেয়ে গৃহস্থদের কাছে পশু জবাইয়ের জন্য পুরোনোগুলোতেই শান দিতে বেশি ঝুঁকছেন ক্রেতারা। তাই গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে অন্যান্য সময়ের চেয়ে বেশি পারিশ্রমিক দিয়ে আগে থেকেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লোক রেখেছেন তারা। দেখা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলা সদর বাজার, রাজিহার, গৈলা বাজার, গুপ্তেরহাট বাজার, সাহেবেরহাট, বাশাইল, পয়সারহাট, ছয়গ্রামসহ বিভিন্ন হাট বাজারে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে দা, বঁটি, চাকু, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করছে কামাররা। শান দেওয়া নতুন দা, বঁটি, ছুরি ও চাকু সাজিয়ে রাখা হয়েছে দোকানের সামনে।