সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে ভিন্ন চিত্র

প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে সড়ক ও রেলপথে ঘরমুখো মানুষের চাপ থাকলেও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের চিত্র একদমই আলাদা। টার্মিনালে যাত্রীর উপস্থিতি এতটাই কম যে, নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে না লঞ্চগুলো। গতকাল দুপুরে সদরঘাটে দেখা যায়, টার্মিনালের পন্টুনে বাধা আছে দক্ষিণাঞ্চলগামী সারি সারি লঞ্চ। ২-৩টি লঞ্চে যাত্রীদের দেখা মিললেও বাড়তি কোনো চাপ নেই। যাত্রীর চাপ কম থাকায় লঞ্চ কর্মচারীদের তেমন কর্মব্যস্ততাও নেই। এদিকে ঈদযাত্রার সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শন করেছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

বেলা সাড়ে ১১টায় পরিদর্শনে আসেন তিনি। তার সঙ্গে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় ও অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিনে ঘাটে যাত্রীর চাপ বাড়ায় বাড়ানো হয়েছে দৈনিক চলাচলকারী লঞ্চের সংখ্যা। তাই নিয়মিত চলাচলকারী লঞ্চগুলোর কেবিনের অগ্রিম টিকিট শেষ হয়ে গেলেও লঞ্চ বাড়ায় এখনো টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন যাত্রীরা। লঞ্চ মালিকরা বলছেন, যাত্রীর চাপ বাড়লে লঞ্চের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। ঢাকা-বরিশাল রুটের এমভি সুরভী-৭ লঞ্চের স্টাফ সিরাজুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে আমাদের যাত্রীর সংখ্যা একেবারেই কমে গেছে। ঈদ উপলক্ষ্যে গত কয়েকদিনে যাত্রী বেশ বেড়েছে। বেশিরভাগ কেবিন আগে থেকেই বুকিং দেওয়া, এজন্য খালি যাচ্ছে না। এছাড়া ডেকেও ভালো লোক হচ্ছে। ভোলাগামী এক যাত্রী বলেন, লঞ্চে আগের মতো ভিড় নেই। যাত্রী আছে কিন্তু অতিরিক্ত চাপ নেই। অন্য সময়ে কয়েক দিন আগেও টিকিট পাওয়া যেত না। ঘাটে এসেই টিকিট নিতে পেরেছি। তাই আগের মতো ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে না। লঞ্চ ভাড়াও স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি। লঞ্চ মালিক সমিতির মহাসচিব শহিদুল হক ভূঁইয়া বলেন, আমাদের কিছু লঞ্চের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গিয়েছিল। এখন সেই রুটগুলোতে লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। তাই যাত্রীরা এখনো কেবিনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন। যাত্রীর চাপ বাড়লে লঞ্চের সংখ্যাও বাড়ানো হবে। আমরা প্রস্তুতি নিয়ে লঞ্চ ঘাটেই ভিড়িয়ে রেখেছি।