প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিন মেয়াদে ধারাবাহিকভাবে দেশ পরিচালনার ফলে সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, নৌ, সড়ক, রেল ও আকাশপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। যোগাযোগের ক্ষেত্রে দুর্ভোগ লাঘব হয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ঢাকা সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি। খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নিরাপদ জাহাজ পরিচালনার লক্ষ্যে নিরাপদ ইকুইপমেন্ট সংযোজনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক বছরের মধ্যে নৌ খাতে অভূতপূর্ব পরিবর্তন দেখতে পারবেন। মানুষ ভালোভাবে নিরাপদে থাকবে। দুর্ঘটনা কমাতে নজর দেওয়া হচ্ছে। প্রশিক্ষিত জনবল তৈরিতে ইনস্টিটিউট তৈরি করছি। কোস্টগার্ড, নৌপুলিশে আধুনিক যন্ত্রপাতি সংযোজন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, নৌপথে চুরি-ডাকাতি প্রায় বন্ধ হয়েছে। আমরা সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করছি। আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে নৌ চলাচল আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মতো স্বাভাবিক হয়ে যাবে। অদক্ষ জনবল জাহাজ পরিচালনার সঙ্গে থাকবে না। প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অন্যান্য সেক্টরের মতো ঢাকার সদরঘাটে অভাবনীয় সাফল্য দেখতে পারছেন। এ অবস্থা আগে ছিল না। আগে উপচেপড়া ভিড় ছিল। লঞ্চের ছাদে মানুষ ভিড় করত। এখন সে অবস্থা নেই। স্বপ্নের পদ্মা সেতু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাহস ও দেশপ্রেম দিয়ে তৈরি করেছেন। এর ফলে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের দুয়ার খুলে গেছে। বরিশাল ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এর প্রভাব পড়েছে। বরিশাল ও খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথ চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আকাশপথে বিভাগীয় শহরগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়ে গেছে। যাত্রীর চাপ চারদিকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য দেশের মানুষের সেবা করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবকিছুতে শৃঙ্খলা বজায় রাখার লক্ষ্যে কাজ করছেন। তার নেতৃত্বে আমরা ২০৪১ সাল নাগাদ স্মার্ট বাংলাদেশ পাব।