ঢাকা ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চট্টগ্রাম : কোরবানি কমেছে ১৫ শতাংশ

চট্টগ্রামে কাঙিক্ষত দাম পাননি চামড়া বিক্রেতারা

চট্টগ্রামে কাঙিক্ষত দাম পাননি চামড়া বিক্রেতারা

চট্টগ্রামে সুশৃঙ্খল পরিবেশে কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া কেনাবেচা হয়েছে। তবে বরাবরের মতো কোরবানিদাতারা চামড়ার উপযুক্ত দাম পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে। এবারও মৌসুমি সংগ্রহকারী আড়তদার এবং তাদের প্রতিনিধি সিন্ডিকেট খুব বেশি

তৎপর হতে পারেনি। আনজুমান এ রহমানিয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া ট্রাস্টের অঙ্গ সংগঠন গাউছিয়া কমিটির কয়েক হাজার মাদরাসার ছাত্র ট্রাক নিয়ে নগরীর বিভিন্ন অলিগলি ও গ্রাম থেকে চামড়া সংগ্রহ করেছেন। এতে চামড়া সংগ্রহ ও কেনাবেচার ক্ষেত্রে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ ও কাঁচা

চামড়ার আড়তদারেরা বলেছেন, এবার কোরবানির পরিমাণ নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ কম হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে নগরীর কাঁচা চামড়া সংগ্রহের স্থানগুলোতে ঘুরে এবারও চিরচেনা দৃশ্যের দেখা মেলেনি। অলিগলির মুখে কিংবা সড়কে কাঁচা চামড়া নিয়ে তরুণ-যুবকদের জটলা ছিল না। নগরীর চৌমুহনী কর্ণফুলী বাজার, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, ঈদগাহ বৌবাজারসহ যেসব স্পটে কাঁচা চামড়া এনে জড়ো করা হয়। সেখানে গত বছরের মতো এবারও তেমন ভিড়-হাঁকডাক দেখা যায়নি। চট্টগ্রামে কোরবানির কাঁচা চামড়ার বাজার প্রতি বছর ‘চার হাত চক্রে’ নিয়ন্ত্রণ হতো। কোরবানিদাতাদের কাছ থেকে চামড়া সংগ্রহ করতেন এলাকার উঠতি তরুণ-যুবকরা, যাদের মৌসুমি সংগ্রহকারী বলা হয়। তারা কয়েকজন মিলে পাঁচ থেকে ছয়টি করে চামড়া সংগ্রহ করতেন। তাদের কাছ থেকে কাঁচা চামড়া কিনে নিতেন বড়-মাঝারি মানের ব্যবসায়ীরা, যারা শুধু কোরবানির সময়ই চামড়া কিনতে বড় অঙ্কের টাকা বিনিয়োগ করেন এবং সেই চামড়া বিক্রি করেন আড়তদারের কাছে। সেই ব্যবসায়ীরা কাঁচা চামড়া বিক্রি করতেন আড়তদারের প্রতিনিধির কাছে। প্রতিনিধির কাছ থেকে চামড়া যেত আড়তদারের

ডিপোতে। এদিকে গেল ২১ সাল থেকে কাঁচা চামড়ার বাজারের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ চলে যায় আড়তদার ও তাদের প্রতিনিধিদের হাতে। কিন্তু ২০২২ সালে এসে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ ও কেনাবেচার নিয়ন্ত্রণ নেয় সুন্নি মতাদর্শে বিশ্বাসী সংগঠন ‘গাউছিয়া কমিটি’, যা অব্যাহত আছে এবারও। চামড়া সংগ্রহে শৃঙ্খলা ফিরে আসায় আড়তদার এবং সরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোও তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। কোরবানির পর বৃহস্পতিবার দুপুরে চৌমুহনী কর্ণফুলী বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, হাতেগোনা তিন-চারজন চামড়া সংগ্রহকারী নগরীর বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে রিকশা-ভ্যানে আসা কাঁচা চামড়া সংগ্রহ করছেন। বিকাল ৪টার পর্যন্ত সেখানে মাত্র সাতটি চামড়ার স্তূপ দেখা গেছে। সব মিলিয়ে হাজারখানেকের কিছু বেশি চামড়া ছিল। বৃহত্তর চট্টগ্রাম কাঁচা চামড়া আড়তদার সমবায় সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন জানিয়েছেন, এবার তারা সাড়ে ৩ লাখ কাঁচা চামড়া সংগ্রহের টার্গেট নিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আড়তে গেছে প্রায় ৪০ হাজার চামড়া। এর বাইরে গাউছিয়া কমিটি আলাদাভাবে চামড়া সংগ্রহ করছে। তিনি বলেন, চামড়া সংগ্রহের পরিমাণ অন্যান্য বছরের চেয়ে অনেক কম। কোরবানিও কম হয়েছে। আবার গাউছিয়া কমিটি বিভিন্ন মাদ্রাসার মাধ্যমে অনেক চামড়া সংগ্রহ করে ফেলেছে। সেজন্য আড়তে চামড়া কম আসছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত