ঢাকা ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শেবাচিমে ঈদের ছুটিতে

ডেঙ্গুসহ ৬০ রোগীর মৃত্যু

ডেঙ্গুসহ ৬০ রোগীর মৃত্যু

ঈদুল আজহার চার দিনের সরকারি ছুটিতে বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডেঙ্গু আক্রান্ত একজনসহ ৬০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে সর্বাধিক ২০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে ঈদের আগের দিন। ঈদের দিন ডেঙ্গু আক্রান্ত এক রোগীসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্রমতে, ঈদে সরকারি ছুটির প্রথমদিন ১৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ওইদিন ১৩ জনসহ মোট ৩০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওইদিন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ১ হাজার ১৬৭ জন রোগীর মধ্যে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ১৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। সূত্রে আরো জানা গেছে, ঈদের আগের দিন নয়জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শেবাচিমে ভর্তি হন। ঈদের বন্ধে ২৮ জুন সর্বাধিক ১ হাজার ২০৫ জন রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওইদিন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত সর্বাধিক ২০ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ঈদের দিন ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ নিয়ে সর্বোচ্চ ২৬ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ওইদিন সর্বোচ্চ ৩৭ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওইদিন চিকিৎসাধীন ১ হাজার ৬৫ জন রোগীর মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত একজনসহ ১৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ঈদের দ্বিতীয় দিন নতুন ভর্তি হওয়া ১০ জনসহ মোট ২৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শেবাচিমে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ওইদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১ হাজার ১৬৭ জন রোগীর মধ্যে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ১২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। অপরদিকে ঈদের বন্ধের আগের তিন দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫২ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী আগের চেয়ে বৃদ্ধি পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, সাসপেক্টেড (সন্দেহজনক) ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছে বেশি। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় যাদের ডেঙ্গু লক্ষণ পাওয়া যাচ্ছে তাদের বেডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি যাদের ডেঙ্গুর লক্ষণ নেই তাদের ছাড়পত্র দেয়া হচ্ছে। ঈদের চার দিন ছুটিতে ডেঙ্গু আক্রান্ত একজনসহ ৬০ জন রোগীর মৃত্যুর বিষয়ে পরিচালক বলেন, গুরুত্বর রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকেন। ঈদের ছুটিতে হাসপাতালের সব ওয়ার্ডে রোস্টার (পালাক্রমে) ডিউটি পালন করেছেন চিকিৎসক ও নার্সরা। কোনো ওয়ার্ডে চিকিৎসায় গাফিলতি ছিল না। চিকিৎসকরা সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত