ঢাকা ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

রাজধানীতে এখনো ঈদের আমেজ

রাজধানীতে এখনো ঈদের আমেজ

ঈদুল আজহার ছুটি শেষ হওয়ার পর এরইমধ্যে সরকারি থেকে বেসরকারি সব ধরনের অফিসই চালু হয়ে গেছে। ছুটি শেষে কর্মজীবীরাও ফিরেছেন কর্মস্থলে। তবুও এখনো অনেকটা ফাঁকাই রয়েছে রাজধানীর রাজপথগুলো। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর প্রধান সড়কগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সড়কগুলো যানজটমুক্ত রাখতে নির্বিঘ্নে কাজ করে যাচ্ছেন ট্র্যাফিক পুলিশের সদস্যরা। এদিকে সড়কে যানজট কম থাকায় চলাচলকারী যাত্রীরা স্বস্তিতে এদিক-সেদিক ঘুরছেন। সকালে মহাখালির শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ অ্যাভিনিউ ঘুরে দেখা গেছে, সেখানে কোনো যানজট নেই। প্রতিটি গাড়িই রয়েছে চলমান। সড়কে দাঁড়িয়ে গাড়ি চলমান রাখতে কাজ করছেন ট্র্যাফিক পুলিশের সদস্যরা। বাস থেকে যাত্রী নামানো-ওঠানো ছাড়া কোনো গাড়িকেই দাঁড়াতে দেয়া হচ্ছে না। এছাড়া বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, মগবাজার ও বাংলামোটরে সড়ক ফাঁকাই পরিলক্ষিত হয়েছে। তবে গাড়ি চলাচলে কিছুটা ধীরগতি দেখা গেছে। মোড়গুলো পার হতে গাড়িগুলোকে একটির বেশি সিগন্যাল প্রয়োজন হয়নি। অফিস আওয়ারে মতিঝিলে কিছুটা গাড়ির ধীরগতি থাকলেও সড়কে চলতে গাড়িগুলোকে তেমন কোনো বেগ পোহাতে হয়নি। পল্টন এলাকাও ছিল অনেকটাই ফাঁকা। তবে গুলিস্তান রোড়ে এখনো গাড়ির চাপ রয়েছে। যাত্রীরা বলছেন, কোনো উৎসব হলে বা লম্বা ছুটি থাকলে রাজধানী ফাঁকা হয়ে যায়। তখন চলাচল করে বেশ স্বস্তি পাওয়া যায়। ঈদের ছুটি চার দিন আগে শেষ হলেও প্রয়োজনের বাইরে কোনো মানুষ হয়তো এখন ঢাকায় নেই। তাই রাজধানীর সড়কগুলো এখনো ফাঁকা আছে। হয়তো আগামী রোববার থেকে এমন থাকবে না, যানজট থাকতে পারে। মিরপুর থেকে বাংলামোটরে অফিস করেন এসকেএম আজাদ। তিনি বলেন, আমি মিরপুর-১২ থেকে মেট্রোরেলে করে আগারগাঁও পর্যন্ত আসি। এরপর সেখান থেকে বাসে চড়ে কারওয়ান বাজার যাই। আগে আগারগাঁও থেকে কারওয়ান বাজার আসতে ৩০-৪৫ মিনিটের মতো সময় লাগত। এখন ১০-১৫ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছাতে পারছি। ডি. লিংক পরিবহনের চালক শামীম বলেন, যাত্রী একেবারেই নেই। ঈদের পর এখনো বাসভর্তি যাত্রী হয়নি। বাসে মাত্র ২০-২৫ জন যাত্রী হয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. সাকিব হোসাইন বলেন, ঈদের ছুটির পর এখনো স্কুল খোলেনি। এর ফলে মানুষের তেমনভাবে এখনো বাইরে চলাচল করছে না। আমরা যতটুকু জানি, আগামী রোববার থেকে স্কুল খুলবে। তখন অফিস-আদালতের পাশাপাশি মানুষের দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড পুরোদমে শুরু হবে। বর্তমানে ঢাকার রাস্তায় কোথাও তেমন কোনো যানজট নেই। আমাদের ট্র্যাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ নির্দেশনা দেয়া আছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত