ঢাকা ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বজ্রপাত

রাজশাহী বিভাগে ৬৩ দিনে ২৪ মৃত্যু

রাজশাহী বিভাগে ৬৩ দিনে ২৪ মৃত্যু

রাজশাহী বিভাগে চলতি বছরের মে থেকে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত (৬৩ দিনে) বজ্রপাতে ২৪ জন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহতও হয়েছেন অনেকে।

জানা গেছে, নওগাঁয় বজ্রপাতে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। জেলায় মোট ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাঁচজন, সিরাজগঞ্জে তিনজন, পাবনায় তিনজন, রাজশাহী নগরীতে দুইজন, বগুড়ায় দুইজন, জায়পুরহাট ও নাটোরে একজন করে মারা যান। মৌসুমের শুরুতেই বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বজ্রপাতে মৃত্যুরোধে অবহেলা নয়, সবার মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর বিকল্প নেই। বৃষ্টির সময় যতটা সম্ভব ঘরে অবস্থান করতে হবে। একই সঙ্গে বেশি করে তালগাছ রোপণের পরামর্শ দিয়েছেন তারা। নওগাঁ পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাহমুদুন নবী বেলাল বলেন, তালগাছ বজ্রপাত নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি মাটির ক্ষয়রোধ এবং পানির স্তর ধরে রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। গত ৩ বছরে নিজস্ব অর্থায়নে নওগাঁ-রাজশাহী আঞ্চলিক মহাসড়কে আড়াই লাখ তালবীজ রোপণ করেছি। যেখানে বর্তমানে ১ লাখের বেশি তালগাছ দৃশ্যমান।

তালগাছ রোপণে সরকারি ও বেসরকারিভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করার পাশাপাশি সচেতন নাগরিক হিসেবে সবাইকে এগিয়ে আসা উচিত। তাহলেই দেশ থেকে বজ্রপাতে মৃত্যুর হার শূন্যে নেমে আসবে। বজ্রপাত থেকে রক্ষার জন্য বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৪০ লাখ তালগাছ লাগিয়েছে দাবি করে বিএমডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী তরিকুল ইসলাম বলেন, তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছিলেন, বজ্রপাত থেকে রক্ষার জন্য তাল গাছ লাগানোর কথা। সেই সময় থেকে তালগাছ লাগানো শুরু হয়। বর্তমান সরকারের গত ১৪ বছরে সবচেয়ে বেশি তালের গাছ লাগানো হয়েছে। সবশেষ ২০১৭-২০১৯ সালের দিকে রাজশাহী বিভাগের সব জেলা ছাড়াও রংপুর ও দিনাজপুরে তালগাছ লাগানো হয়। এখন অনেক তালগাছ বড় হয়ে গেছে। নিঃসন্দেহে আমরা এর সুফল পাচ্ছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওগ্রাফি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. এজেডএম শোয়েব বলেন, মূলত বীক্ষণ শক্তি না থাকার ফলে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত