ঢাকা ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ৩১ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ভুয়া এমবিবিএস পরিচয়ে রোগী দেখে অবশেষে ধরা

ভুয়া এমবিবিএস পরিচয়ে রোগী দেখে অবশেষে ধরা

বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই ২০১৩ সাল থেকে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে মেডিসিন বিশেষজ্ঞ (মেডিসিন সি অ্যান্ড জনস্বাস্থ্য) পরিচয়ে তিনি চিকিৎসা দিয়ে আসছেন। প্রথম সাক্ষাতে তিনি ৮০০ টাকা ফি এবং পরবর্তী সাক্ষাতে ৫০০ টাকা ফি নিয়ে থাকেন। এভাবে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরেই চিকিৎসার নামে তিনি রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। অবশেষে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দ সংস্থার (এনএসআই) সদস্যের কাছে ধরা খেলেন।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের আমিন আবাসিক এলাকার নিজ চেম্বারে রোগী দেখার সময় এমবিবিএস পরিচয়ধারী এই চিকিৎসককে আটক করা হয়। এ সময় বন্দর উপজেলা ভূমি অফিসের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা রানী কর্মকারের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। সেইসঙ্গে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন- বন্দরের কল্যান্দী এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে মো. মাকসুদুর রহমান ওরফে এমএম রহমান আল মাহাবুবি। তিনি ভুয়া পরিচয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের পলি ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বন্দর উপজেলার আল হাকিম ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও লাইফ কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বন্দর থানার আমিন আবাসিক এলাকার বিশ্ববন্ধু ব্লাড ডোনেশন ক্লাবসহ মুন্সীগঞ্জ জেলার বিভিন্ন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়মিত রোগী আসছিলেন।

অভিযানের সহযোগিতায় থাকা বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতারক চিকিৎসক প্র্যাকটিসের স্বপক্ষে কোনো প্রকারের বৈধ কাগজপত্রাদি দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। সেইসঙ্গে প্রকৃত ডাক্তার মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খানের বিএমডিসি নম্বর (এ-৩৭৫৩৮) জালিয়াতি করে ব্যবহার করে আসছিল। এসব অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে মো. মাকসুদুর রহমান ওরফে এমএম রহমান আল মাহাবুবি নামে প্রতারক ডাক্তারকে দণ্ড প্রদান করা হয়েছে। তিনি ২০১৩ সাল থেকেই এই ভুয়া পরিচয় দিয়ে চিকিৎসা করে আসছিলেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত