কাশিমপুর কারাগারে হাজতির মৃত্যু
ময়নাতদন্তের পর জানা গেল হত্যা
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত এক বন্দির মৃত্যুর প্রায় এক বছর পর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে জানা গেল, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে জিএমপির কোনাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। কোনাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফরিদ আহাম্মদ বাদী হয়ে গত ৭ জুলাই হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। ঘটনাস্থল দেখানো হয়েছে কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে। নিহত গোলাম মোস্তফা (৩১) মাদারীপুরের শিবচর থানার উতরাইল গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি ঢাকার ডেমরা থানার কোনাপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন। গোলাম মোস্তফা ঢাকা দ্রুতবিচার ট্রাইবোনালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(২)-এর মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত কয়েদি ছিলেন। তার বন্দি নম্বর ছিল ৫০৪৫-এ। পুলিশ দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত গোলাম মোস্তফাকে ২০২১ সালের ১১ জুলাই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কোনাবাড়ী থানাধীন কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে তাকে পাঠানো হয়। সেখানে বন্দি থাকা অবস্থায় ২০২২ সালের ৭ জুন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কারাগার থেকে তার লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ব্রডডেড (মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা) হিসেবে ঘোষণা করে মর্গে পাঠায়। নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে একদিন পর তার স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করে। ওই সময় কারা কর্তৃপক্ষ এটিকে আত্মহত্যা বলে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সদর থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে। ওই সময় নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন করেন গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিট্রেট খন্দকার কামরুজ্জামান।