পুলিশের ধাওয়া খেয়ে মৃত্যু

গৌরনদী মডেল থানার চার পুলিশ প্রত্যাহার

প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  বরিশাল ব্যুরো

বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের উত্তর ভাল্লুকসী গ্রামে গত মঙ্গলবার বিকালে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর জন্য গৌরনদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হক সিকদারসহ চার পুলিশকে দায়ী করে বিক্ষোভ মিছিল করে করেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এসআইসহ চার পুলিশ সদস্যকে বরিশাল পুলিশ লাইন্সে প্রত্যহার করে নেওয়া হয়েছে। প্রত্যহার করে নেওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন, গৌরনদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হক সিকদার, কনস্টেবল ইসমাইল হোসেন, তরিকুল ইসলাম ও পিক-আপ চালক জিহাদ হোসেন। তারা শুক্রবার সকালে গৌরনদী মডেল থানা ত্যাগ করে বরিশাল পুলিশ লাইন্সে যোগদান করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে গৌরনদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) ও তদন্ত কমিটির সদস্য শারমিন সুলতানা রাখী বলেন, আগৈলঝাড়া উপজেলার উত্তর ভালুকশী গ্রামে পুলিশের তাড়া খেয়ে রফিক হাওলাদারের মৃত্যুর ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. শাহজাহানকে আহ্বায়ক তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরইমধ্যে তদন্ত কাজ শুরু করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাত কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং এসআই আব্দুল হক সিকদারসহ চার পুলিশকে বরিশাল পুলিশ লাইন্সে প্রত্যহার করে নেওয়া হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় লোকজন ও নিহত পরিবারের অভিযোগ, আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের ভালুকশী গ্রামের নিজাম উদ্দিন ফকিরের চায়ের দোকানের পেছনের পরিত্যক্ত পুকুর পাড়ে বসে মঙ্গলবার দুপুরে তাস খেলছিলেন স্থানীয় ইকবাল মৃধা, আলামিন মৃধা, জামাল মৃধা ও ফরিদ মৃধা। এ সময় খেলা দেখছিল স্থানীয় লোকজন। ওই সময় ওই পথ দিয়ে ভাল্লুকশী বাজারে যাচ্ছিল গৌরনদী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হক সিকদারসহ একাধিক টহল পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, এসআই আব্দুল হক তাস খেলতে দেখে পুলিশের গাড়ি থামিয়ে আকস্মীকভাবে ধাওয়া করে। এ সময় তাস খেলোয়ার ও দর্শকরা আতঙ্কিত হয়ে পুলিশের ভয়ে আত্মরক্ষায় দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করে। সবাই পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও উত্তর ভাল্লুকশী গ্রামের মন্নাত হাওলাদারের ছেলে ছুটিতে আসা বিদেশফেরত (প্রবাসী) মো. রফিক হাওলাদার (৪৫) দৌড়ে পাট ক্ষেত ও রাস্তা অতিক্রম করে কাজী মন্নানের বাড়িতে গিয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। স্থানীয় ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে বিকলা সাড়ে ৪টায় গৌরনদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।