নারায়ণগঞ্জের সবচেয়ে বড় দুধের বাজার এটি। শোনা যায়, এখানে প্রতিদিন প্রায় ৭ থেকে ৮ লাখ টাকার দুধ বিক্রি হয়ে থাকে। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় কেনা-বেচা, চলে সকাল ৯টা পর্যন্ত। এরপর মাঝখানে বিরতি দিয়ে আবার বিকাল ৪টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত কেনা-বেচা চলে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর মলবাড়ি দুধ বাজারে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় ৫০ থেকে ৬০ বছরের পুরোনো এই দুধের বাজার। এই বাজারটিকে কেন্দ্র করে আশপাশের অন্তত ১৫টি গ্রামে ছোট-বড় ছয় শতাধিক খামার গড়ে উঠেছে। যেখানে প্রতিদিন প্রায় ১৫ হাজার কেজি দুধ উৎপাদিত হয়। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিক্রেতারা দুধের মান ধরে রেখেছেন। ফতুল্লা এলাকার বাসিন্দা মো. হাবিবুল্লাহ বলেন, এই দুধ বাজার কমপক্ষ ৪০ বছর আগে থেকে বসে আসছে। আমার আগে এখান থেকে দুধ নিতেন আমার বাবা। এই বাজারের দুধের মান খুব ভালো এবং ক্রেতা বিক্রেতা সবার ব্যবহারই ভালো। দুই বেলায় এখান থেকে প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ মণ দুধ বিক্রি হয়। গোগনগর এলাকার গরু খামারি নূর মোহাম্মদ বলেন, বর্তমানে গো-খাদ্যের দাম বেশি, সে তুলনায় দুধের দাম অনেক কম। যার কারণে আমরা খামারিরা কষ্টে রয়েছি। গরুর যে খাদ্যের দাম ছিল ২০ টাকা সেটা এখন ৪০ টাকা হয়ে গেছে। যে খুদের বস্তা ১ হাজার টাকা ছিলো সেটা ১৮০০ টাকা থেকে ২৪০০ টাকা হয়ে গেছে। খৈল ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন, কয়েক দিন আগেও দুধ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। তবে এখন একটু বেড়েছে। আমি আগে ২০০ কেজি দুধ বিক্রি করতাম। আগে গরু ছিল ৩০ থেকে ৩৫টা। গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দুধের গরু বিক্রি করে এখন ৪-৫টা রয়েছে। যার কারণে আমার দুধ বিক্রির পরিমাণ কমে গেছে। গোগনগর ইউনিয়নের লাইভস্টক সার্ভিস প্রোভাইডার (এলএসপি) শারমীন আক্তার বলেন, এখানে তিনটি ইউনিয়নের খামারিরা দুধ বিক্রি করে থাকেন। গোগনগর, আলীরটেক ও কাশীপুর এই তিন মাঝামাঝি জায়গায় বাজারটির অবস্থান। গোগনগর ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে প্রায় তিন শতাধিক ডেইরি খামার রয়েছে। পাশাপাশি আলীরটেক ও কাশীপুর ইউনিয়ন মিলিয়ে আরো শতাধিক খামার রয়েছে।