ঢাকা ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

গুলশান-বনানীতেও বেড়েছে মশার উপদ্রব

গুলশান-বনানীতেও বেড়েছে মশার উপদ্রব

রাজধানীর অভিজাত এলাকা হিসেবে পরিচিত গুলশান-বনানীর বাসিন্দাদেরও ছাড় দিচ্ছে না মশা। এসব এলাকার বাসাবাড়ি, নির্মাণাধীন ভবনেও নিয়মিত এডিসের লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে। বেড়েছে মশার উপদ্রবও। বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা, শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালির দুর্ভোগ আর বছরজুড়ে যানজটের ভোগান্তি যেন নিত্যদিনের সঙ্গী রাজধানীবাসীর। এসব ভোগান্তির সঙ্গে এখন ডেঙ্গু আতঙ্ক আর মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ মানুষ। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের নানা উদ্যোগ, অভিযানসহ নিত্যনতুন পদক্ষেপও হার মানছে মশার কাছে, ডেঙ্গুর কাছে। বছরজুড়ে মশক নিধন কর্মসূচি, অর্থব্যয়, নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব থেকে নগরবাসীকে মুক্তি দিতে পারেনি ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। গুলশান-বনানীর অবস্থাও এবার ভালো নয়। ডেঙ্গুর এই পরিস্থিতিতে অন্য এলাকার মতো ঝুঁকিতে আছে এসব অভিজাত এলাকাও। গতকাল শনিবার গুলশান-বনানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এসব এলাকার লেকপাড়ের বিভিন্ন জায়গায় পরিত্যক্ত পাত্রসহ অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ দেখা গেছে, যা এডিসের প্রজনন উপযোগী পরিবেশ। এসবের কারণে এলাকায় মশার উপদ্রব বেশি বলে অভিযোগ করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। রাজধানীর গুলশান-২ এর লেকপাড়ের একটি বাড়ির মালিক লিয়াকত আলী বলেন, গুলশান অভিজাত এলাকা হলেও এখানে মশার উপদ্রব ভয়াবহ। দিন নেই, রাত নেই সব সময় মশার উপদ্রব। এখন তো পুরো ঢাকা শহরেই ডেঙ্গু আতঙ্ক। আমরাও এই আতঙ্ক নিয়ে দিন পার করছি। বিশেষ করে লেকপাড়ের পাশে পরিত্যক্ত পাত্র, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, লেকের পানিতে আটকে থাকা আবর্জনা মশার প্রজননের জন্য উপযুক্ত। এ কারণে গুলশানের এদিকটাতে মশার উপদ্রব অনেক বেশি। তিনি বলেন, আমরা পরিবার নিয়ে এ এলাকায় বসবাস করি। এখন যদি এডিস মশা জন্মায় আর আমাদের ডেঙ্গু হয়, তাহলে এর দায় তো সিটি কর্পোরেশনকেই নিতে হবে। আমরা ডেঙ্গুর এমন আতঙ্ক থেকে মুক্তি চাই। হোল্ডিং ট্যাক্সসহ নানা ফি কোনোটাই দিতে আমরা বিলম্ব করি না। তাহলে কেন সিটি কর্পোরেশন আমাদের ডেঙ্গু থেকে নিরাপদে রাখতে পারবে না? বনানী মাঠের পাশে লেকপাড়ের একটি বাড়ির ম্যানেজার আফজাল হোসেন বলেন, এই এলাকার প্রতিটি বাড়ির বাসিন্দারা মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ। আমার সবাই নিজ নিজ বাড়ির আঙিনা, ছাদ, ব্যালকনি, দুই বাড়ির মাঝের অংশ পরিচ্ছন্ন রাখছি। জমে থাকা পানি ফেলে দিই, তবুও মশা কমে না। এই বাড়িগুলো লেকপাড়ে হওয়ায় মশার উপদ্রব আরো বেশি। কারণ, লেকের পাশে অসংখ্য পরিত্যক্ত পাত্র, প্লাস্টিকের নানা উপকরণ পড়ে থাকে। সিটি কর্পোরেশন এগুলো পরিষ্কার করে না। যে কারণে আমরা ডেঙ্গু আতঙ্কে থাকি সব সময়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত