রংপুর জেলায় গরুর লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাব প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এরইমধ্যে আট উপজেলায় ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ। এতে গরুর মৃত্যুর সঙ্গে বাড়ছে খামারিদের চিকিৎসা ব্যয়। গত এক মাসে জেলায় পাঁচ শতাধিক গরুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন খামারিরা। এর মধ্যে শুধু বদরগঞ্জ উপজেলাতেই মারা গেছে তিন শতাধিক গরু। এ উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের খামারপাড়া গ্রামে এর সংখ্যা প্রায় অর্ধশত। এদিকে লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত গরুর চিকিৎসায় সহসাই মিলছে না ভ্যাকসিন। উপজেলা পর্যায়ে ভ্যাকসিনের মজুত হ্রাস পাওয়ায় খামারিরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্থানীয় পল্লি চিকিৎসকরা ভ্যাকসিনের নামে বিভিন্ন ইনজেকশন পুশ করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আর ভ্যাকসিন শূন্যতায় অনেক উপজেলায় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়গুলো নিষ্ক্রিয় হয়ে বসে রয়েছে। দক্ষিণ খামারপাড়া গ্রামের জালাল উদ্দিন, ডাক্তারপাড়া গ্রামের টিপু ও কবিরাজপাড়া গ্রামের আক্তার হোসেনের গরু মারা গেছে তিনটি করে। এই উপজেলার অন্তত আরো ৫০ জনের কমপক্ষে একটি করে গরু মারা গেছে। খামারিদের দাবি, সব মিলিয়ে উপজেলায় অন্তত ৩০০ গরু লাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। আক্রান্ত আছে আরো শতাধিক। গত সোমবার বদরগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে অন্তত ১৫টি গরুকে দেখা যায়, যেগুলোকে লাম্পি স্কিন রোগের চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছিল। কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন ডা. আবু মুছা একা সেগুলোকে চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। সেখানে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষমাণ অবস্থাতেই একটি গরুর মৃত্যু হয়। ওই সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা আজমল হুদা তপন উপজেলার মাসিক সমন্বয় সভায় যোগ দিতে ইউএনও কার্যালয়ে ছিলেন। ডা. আবু মুছা বলেন, ‘আমার কার্যালয়ে প্রতিদিনই ল্যাম্পি স্কিন রোগে আক্রান্ত ১৫-২০টি করে গরু আসছে।