‘শিশুদের একটি অংশ মানবিক মর্যাদা পাচ্ছে না। শিশু গৃহকর্মীদের শতকরা ৯০ শতাংশ কন্যা শিশু। একটি শিশু জন্মগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে জানান দেয় যে, সে জন্মগ্রহণ করেছে এবং এই পৃথিবীতে জন্মগ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে তার কিছু অধিকারপ্রাপ্ত হয়। অথচ, গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুরা তাদের সব অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়। অনেক ক্ষেত্রেই তারা নির্যাতন ও নিগ্রহের শিকার হয়। গৃহকর্মে শিশুশ্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা প্রয়োজন। বাংলাদেশে কতজন শিশু গৃহকর্মী রয়েছে তার পরিসংখ্যান করা হয়েছিল ২০০৭ সালে। এরপর ১৫ বছরেও শিশু গৃহকর্মীদের বিষয়ে আর কোনো জরিপ হয়নি, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’ আজ সকাল ১১টায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন সম্মেলন কক্ষে একশন ফর সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট এর আয়োজনে ‘ঝুঁকিপূর্ণ শিশুশ্রমের তালিকায় গৃহকর্ম অন্তর্ভুক্তকরণের অগ্রগতি ও আইনি বাস্তবতা’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন এসব কথা কলেন। তিনি বলেন, গৃহকর্মে যাতে শিশুদের নিয়োগ করা না হয় সেজন্য নিয়োগকর্তাদের পাশাপাশি অভিভাবকদেরও সচেতন করতে হবে। সমাজের মানসিকতা পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কাজ করতে হবে। পাশাপাশি, গৃহকর্মী সুরক্ষা আইন প্রণয়নের বিষয়েও আমাদের একযোগে উদ্যোগ নিতে হবে। সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. সেলিম রেজা। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তোমকো উচিয়ামা, কান্ট্রি ডিরেক্টর; শাপলানীর, হালিমা আক্তার; এডুকো বাংলাদেশ, শাবনাজ জাহেরিন’ চাইল্ড প্রটেকশন স্পেশালিস্ট, ইউনিসেফ, নাসিমা আক্তার জলি; সেক্রেটারি, জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম, এমএ করিম; নির্বাহী পরিচালক, একশন ফর সোস্যাল ডেভেলপমেন্ট, এম রবিউল ইসলাম; উপ-পরিচালক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এবং ফারহানা সাঈদ উপ-পরিচালক, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।