ঢাকা ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীতে চলছে শিক্ষকদের কর্মসূচি

জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীতে চলছে শিক্ষকদের কর্মসূচি

বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের দাবিতে টানা ১০ দিন ধরে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। এ আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে আজ থেকে নতুন করে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি। আন্দোলনের ১০ দিন পার হলেও এখনো কোনো সুরাহার ইঙ্গিত পায়নি তারা। ফলে পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন আন্দোলনকারীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা। কর্মসূচিতে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির প্রধান সমন্বয়কারী ও সাধারণ সম্পাদক কাওছার আহমেদ বলেন, শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন- ‘যারা সরকারি চাকরি পায় না তারাই বেসরকারি চাকরি করে। যারা ক্যাডার সার্ভিসে সুযোগ পায় না, তারা নন ক্যাডারে যায়।’ এমন কথা বলে তিনি আসলে সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের মাঝে বৈষম্য উসকে দিয়েছেন। এ দেশের মানুষ টাকার দিকে বা পেটের দিকে তাকিয়ে শিক্ষকতায় আসে না। শিক্ষকতায় আসে দায়িত্ববোধ ও সম্মান থেকে। শিক্ষামন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনি নিজে একজন চিকিৎসক হয়ে আজ মন্ত্রী হয়ে বসে আছেন। অথচ আপনার স্বপ্ন মন্ত্রী হওয়া ছিল না। আজ যারা বেসরকারি শিক্ষক তারা সরকারি শিক্ষক হতে চাইলেও ইচ্ছার বিপরীতেই বেসরকারি খাতে শিক্ষকতা করছে শুধু সম্মানের জন্য। তিনি আরো বলেন, আমরা একটি সঙ্গত ও যুক্তিযুক্ত বিষয় নিয়ে আন্দোলন করছি। শিক্ষকরা জাতির মেরুদণ্ড। সুতরাং, তাদের দাবি দাওয়া মেনে নিতেই হবে। কাওছার আহমেদ বলেন, আজ শিক্ষকরা তাদের যৌক্তিক দাবির বিপরীতে পুলিশের লাঠিপেটা খাচ্ছে। দিনের পর দিন স্কুলে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হচ্ছে। আমরা চাই অবিলম্বে এ সমস্যার সমাধান করা হোক। এর আগে শিক্ষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে ওই বৈঠকে শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে কোনো সুরাহা হয়নি। জাতীয়করণের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী তাদের সুনির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস দিতে পারেননি। মন্ত্রী কেবল বলেছেন, নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের বিষয়ে দুটি কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর এ আশ্বাসে সন্তুষ্ট নন শিক্ষকরা। জাতীয়করণের বিষয়ে তারা সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ চান।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত