বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজগুলোর মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে তৃতীয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (কলেজ) নির্বাচিত হয়েছে জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজগুলোর কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের ৫৫তম সভায় গত ১২ জুন ২০২৩ তারিখে জালালাবাদের অধ্যক্ষের হাতে ‘সম্মাননা সনদ’ তুলে দেন। এছাড়া, সিলেট জেলার সেরা ‘প্রতিষ্ঠান প্রধান’ হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ লে. কর্নেল মো. কুদ্দুসুর রহমানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। ‘জ্ঞানে আলোকিত’ এই মূলমন্ত্রকে ধারণ করে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি তার প্রাতিষ্ঠানিক ফলাফলে শতভাগ সাফল্য এবং সহশিক্ষা কার্যক্রমে জাতীয় পর্যায়ে ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় বিভিন্ন পুরস্কার অর্জন করেছে। অত্র প্রতিষ্ঠান জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ এ জারিগান ও ইংরেজি রচনা প্রতিযোগিতায় দুটি শ্রেষ্ঠ পুরস্কারসহ মোট তিনটি পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা-২০২৩ এ ভাষা ও সাহিত্য এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু বিভাগসহ দুটি জাতীয় সেরা পুরস্কার, জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় দুটি রৌপ্যপদক অর্জন এবং ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ হিসেবে পঞ্চম স্থান লাভ করে। এছাড়া, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা-২০২৩ প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় পর্যায়ে তিনজন চ্যাম্পিয়ন এবং সাতজন রানারআপ, ৪৪তম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ-২০২৩ এ বিভাগীয় পর্যায়ে কুইজ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন, ২১তম গণিত উৎসব-২০২৩ এ আঞ্চলিক পর্বে ছয়জন এবং বাংলাদেশ ফিজিক্স অলিম্পিয়াড-২০২৩ এ ১৩ শিক্ষার্থী সিলেট বিভাগে প্রথম স্থান লাভ করে। এছাড়া, ৪২টি আন্তঃক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজের মধ্যে সংসদীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় কলেজ শাখা চ্যাম্পিয়নসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে দ্বিতীয় স্থান হওয়ার গৌরব অর্জন করে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুচিন্তিত নির্দেশনা, পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি ও অধ্যক্ষের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, সুদক্ষ শিক্ষকমণ্ডলী আর সচেতন অভিভাবকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, মেধাবী শিক্ষার্থীদের অধ্যবসায়ী অনুশীলন এবং কর্মচারীদের অক্লেশ কর্মতৎপরতায় সম্ভব হয়েছে এমন সাফল্য অর্জন করা। উল্লেখ্য, সারাদেশে সেনাবাহিনী কর্তৃক পরিচালিত অন্যান্য ৪১টি ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্যের ধারায় দেশের সার্বিক শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।