ঢাকা ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ছয় দফা দাবিতে অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির মানববন্ধন

ছয় দফা দাবিতে অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির মানববন্ধন

সেবা খাতে অ্যাম্বুলেন্সের প্রাইভেট কারের আয়কর বিআরটিএ কর্তৃক এটিআই না নেওয়াসহ ছয় দফা দাবি না মানলে আগামী ২৫ জুলাই থেকে সারা দেশে অ্যাম্বুলেন্স চালাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতির নেতারা। তারা বলেন, আমাদের দাবি যদি সরকার মেনে নেয়, তাহলে আমরা আমাদের কর্মসূচি বাতিল করব। আমরা কোনো রাজনৈতিক সংগঠন না। আমরা কোনো সরকারবিরোধী আন্দোলন করছি না। আমরা মানবসেবামূলক কাজ করে থাকি। তাই আমরা বলতে চাই, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া হোক। আমরা যেন আবার সারা বাংলাদেশে আমাদের সেবা পৌঁছে দিতে পারি। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ অ্যাম্বুলেন্স মালিক কল্যাণ সমিতি আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন সংগঠনের নেতারা। সংগঠনের ছয় দফা দাবি হচ্ছে : সেবাখাতে অ্যাম্বুলেন্সের প্রাইভেট কারের আয়কর বিআরটিএ কর্তৃক এআইটি নেওয়া চলবে না; অ্যাম্বুলেন্সের জাতীয় নীতিমালা; টোল ফ্রি বাস্তবায়ন; হাসপাতালসমূহে পার্কিং সুবিধা; রোগী থাকা অবস্থায় দ্রুত গ্যাস; এবং সড়কে হয়রানিমুক্ত পথচলা। মানববন্ধনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. বাদল মাতব্বর বলেন, অ্যাম্বুলেন্স এমন একটি সেবাখাত যেটা বাংলাদেশের বিআরটিএ কর্তৃক অবহেলিত। আমরা এই অবহেলা থেকে পরিত্রাণ চাই। জাপান থেকে আমরা অ্যাম্বুলেন্স আমদানি করি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে। বিআরটিএ রেজিস্ট্রেশন করি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবেই, অথচ আয়কর দেওয়ার সময় দিতে হয় প্রাইভেটকার হিসেবে। তিনি বলেন, হাসপাতাল এবং ট্রাস্টি বোর্ডের অ্যাম্বুলেন্সের ক্ষেত্রে আয়কর নেওয়া হয় মাত্র ৫২ টাকা। অথচ বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে অতীতে নেওয়া হতো ৩০ হাজার টাকা, এ বছর থেকে ৫০ হাজার টাকা নেওয়া হবে বলে জানতে পেরেছি। সেবাখাতে একই দেশে দুই ধরনের আইন কী করে হয়, সেটা আমাদের বোধগাম্য নয়। তিনি আরো বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় নীতিমালা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরে ঘুরেও আমরা এর কোনো প্রতিকার পাইনি। জাতীয় নীতিমালার দাবিতে সারা দেশে মানববন্ধন করা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। উচ্চ আদালতে একটি রিট করা হলেও সমাধান হয়নি। আজকে আমরা বাধ্য হয়ে এত বড় ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছি। তাই আমরা বলছি, যদি আমাদের দাবি মেনে নেওয়া না হয়, আমাদের হয়রানি থেকে মুক্তি দেওয়া না হয় তাহলে আগামী ২৫ জুলাই থেকে সারা বাংলাদেশের অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ থাকবে। যে পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত