প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো গার্লস লিডারশিপ সামিট ২০২৩

প্রকাশ : ২২ জুলাই ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

  রংপুর ব্যুরো

নারী নেতৃত্ব বিকাশে সবার আগে প্রয়োজন কারিগরি শিক্ষা। সেজন্য এগিয়ে আসতে হবে সবাইকে, থাকতে হবে সহযোগিতার মনোভাব। নির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করে এগিয়ে যেতে হবে মেয়েদের, কুড়িগ্রামে আয়োজিত গার্লস লিডারশিপ সামিটে এমন কথাই বলেন বক্তারা। নরওয়ের টেলিকমিউনিকেশন সংস্থা নরওয়েজিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশনের আর্থিক এবং আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কারিগরি সহযোগিতায় সহযোগী সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশ এবং মহিদেব যুব সমাজ কল্যাণ সমিতি (এমজেএসকেএস) বাস্তবায়িত ‘চাইল্ড, নট ব্রাইড’ (সিএনবি) প্রজেক্ট কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্বপ্নকুঁড়িতে গত ১৯-২০ জুলাই ২০২৩ তারিখে এই গার্লস লিডারশিপ সামিটের আয়োজন করে। সামিটের মূল উদ্দেশ্য ছিলো মেয়ে শিশু ও যুব নারীদের কাজের স্বীকৃতি ও উৎসাহ প্রদান এবং তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও নেতৃত্বের বিকাশ ঘটানো। কুড়িগ্রাম জেলার সব উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল বিশেষ করে চর অঞ্চলের ৫০ জন মেয়ে শিশু ও যুব নারী যারা নিজের বাল্যবিয়ে নিজেই বন্ধ করেছে এবং বাল্যবিয়ে বন্ধে গ্রাম পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টি করে চলেছে এমন সাহসী কন্যা এই সামিটে অংশগ্রহণ করে। দুই দিনব্যাপী গত ১৯ ও ২০ জুলাই তারিখে অনুষ্ঠিত প্রথম দিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ। দ্বিতীয় দিনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার, আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম জেলার উপ-পরিচালক (স্থানীয় সরকার) মিনহাজুল ইসলাম, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের হেড অব সেন্ট্রাল অ্যান্ড নর্দান রিজিয়ন প্রোগ্রামস আশিক বিল্লাহ, কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি রাজু মোস্তাফিজ, আরডিআরএস বাংলাদেশের সিনিয়র কোঅর্ডিনেটর (সোশ্যাল অ্যাম্পাওয়ারমেন্ট) রাশেদুল আরেফিন, মহিদেব যুব সমাজকল্যাণ সমিতির (এমজেএসকেএস) পরিচালক শ্যামল চন্দ্র সরকার।

মেয়েদের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জিং গল্প শোনার পর জেলা প্রশাসক বলেন, গার্লস লিডারশিপ সামিটে উপস্থিত মেয়েরা তাদের পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়ার জন্য যে সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে তা সত্যিই হৃদয়স্পর্শী। সিএনবি প্রকল্প যেভাবে সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করে; মেয়েদের ক্ষমতায়নের জন্য কাজ করছে এবং তাদের সাহসী করে তুলছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। আমরা এভাবেই পারস্পরিক সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করব এবং এগিয়ে যাব।