শোভাযাত্রাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে পাবলিক সার্ভিস দিবস উদযাপিত হয়। গতকাল রোববার সকাল পৌনে ১০টায় জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চত্বর প্রদক্ষিণ করে মূল ফটকে এসে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। এ উপলক্ষ্যে সকাল দশটায় জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে তার সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে প্রধান অতিথির বক্তৃতা রাখেন। অনুষ্ঠানে ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বলেন, প্রতিটি দপ্তরে জবাবদিহিতার বিষয়টি সুনিশ্চিত করতে হবে। এতে করে সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন থাকবে। পাবলিক সার্ভিস দিবস পালন করতে গিয়ে যেন জনসেবা ব্যাহত না হয় সে দিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, বছরের বিভিন্ন দিন বিভিন্ন দিবস থাকে, আমরা তা পালনও করে থাকি, তবে যে কোনো দিবস পালন করার দিন আমাদের লক্ষ্য রাখা উচিত- আমরা যেন ওই দিন সর্বোচ্চ জনসেবা দিতে নিজেদের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করি। কোনো বিশেষ দিন নয়, প্রতিটি দিনই যেন বিশেষ হয় আর বিশেষ সেবা যেন জনগণ পায়। বর্তমানে দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষই ইন্টারনেট ব্যবহার করছে উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার বলেন, স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকনোমি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ গড়ে তুলতে পারলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। এসব করতে হলে অনেক চ্যালেঞ্জ আসবে, আর এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন, জনসেবা মহান আল্লাহর দেওয়া একটি বিশেষ নেয়ামত। তিনি সবাইকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক বিভিন্ন হটলাইন নম্বরের কার্যকারিতা ও ব্যবহারের দিক, বর্তমান সরকারের অধীনে বিভিন্ন দপ্তর/সংস্থার কার্যক্রম অনলাইন করার সুবিধাসহ ভূমি উন্নয়ন কর, মিউটেশন, জন্ম/মৃত্যু নিবন্ধন, এনআইডি ইত্যাদি সম্পর্কে তুলে ধরে সরকারের নানামুখী কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে ঘুষ ও দুর্নীতি হ্রাস হয়েছে বলে জানান। এ সময় তিনি প্রতিটি দপ্তর থেকে বছরে অন্তত একটি কাজ ঠিক করার আহ্বান জানান- যাতে আজ থেকে মানুষ উক্ত সেবাটি পেতে কোনো ধরনের হয়রানি না পোহায়। অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন সরকারি অফিসে কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী ও অক্ষমতাজনিত কারণে অবসরগ্রহণকারী আটজন এবং ভূমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৫ জনকে চেক প্রদান করা হয়।