সারা দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। দেশের প্রায় সবগুলো জেলাতেই ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। বর্তমানে ঢাকার সবগুলো সরকারি হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার বেশি ডেঙ্গু রোগী রয়েছে। বেসরকারি হাসপাতালগুলোতেও প্রতিদিন যত রোগী ভর্তি হচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগই ডেঙ্গু আক্রান্ত। এমন অবস্থায় ঢাকার দুই সিটির ১১ এলাকাকে ‘রেড জোন’ ঘোষণা করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। এসব এলাকার মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে (ডিএসসিসি) রয়েছে ছয়টি এলাকা এবং উত্তর সিটি কর্পোরেশনে (ডিএনসিসি) রয়েছে পাঁচটি এলাকা। দক্ষিণ সিটির এলাকাগুলো হলো- যাত্রাবাড়ী, মুগদা, কদমতলী, জুরাইন, মানিকনগর ও সবুজবাগ। আর উত্তর সিটির এলাকাগুলো হলো- মোহাম্মদপুর, মিরপুর, উত্তরা, তেজগাঁও ও বাড্ডা। ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহতার মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে সেবা নিতে আসা রোগীদের ওপর ভিত্তি করে ‘রেড জোন’ চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২২ জুলাই সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ২৪২ জন। এর মধ্যে রাজধানীতে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ১২৩৯ জন। অর্থাৎ ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে রোগী বেশি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। জাতীয় ম্যালেরিয়া ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় গত ১৮ থেকে ২৭ জুন জরিপ চালিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। দুই সিটির ৯৮টি ওয়ার্ডে পরিচালিত জরিপে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের বাহক মশার প্রজননস্থল শনাক্ত, পূর্ণাঙ্গ মশা ও লার্ভার ঘনত্ব পরিমাপ ও ম্যাপিং করা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশি লার্ভা পাওয়ার অর্থ ঢাকায় এবার এডিস মশাও বেশি পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, রাজধানীর ১৮ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সাধারণত কোনো এলাকার ৫ শতাংশ বাড়িতে এই লার্ভা পাওয়া গেলে ওই পরিস্থিতিকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ ধরা হয়।