জলবায়ু পরিবর্তনের নানাবিধ ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা করছে বাংলাদেশ। তার মধ্যে এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব অন্যতম বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একইসঙ্গে পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা নেতিবাচক প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে বলে জানান তারা। গতকাল সোমবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘পানি স্যানিটেশন ও জলবায়ু পরিবর্তনে ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাব এবং করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপাস্থাপন করেন বিআইআইএসএসের গবেষণা পরিচালক মাহফুজ কবীর। বিশ্বব্যাংকের এক গবেষণার তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়াচ্ছে বলে জানা গেছে। এক ঋতুর সঙ্গে আরেক ঋতুর যে পার্থক্য, বাংলাদেশে তা বদলে যাচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে। সেই সঙ্গে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন সমস্যা। মৌসুম হোক বা না হোক, ডেঙ্গুর মতো বাহকনির্ভর রোগের প্রকোপ বাড়ছে শহর এলাকায়। এই গবেষণা বলছে, আর্দ্রতা কমে আসার পাশাপাশি তাপমাত্রা ও বৃষ্টিপাতের মাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যতে দেশের রাজধানীসহ অন্যান্য শহরে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরো বাড়তে পারে। জলবায়ু যেভাবে বদলে যাচ্ছে, তাতে জনস্বাস্থ্যের ওপর এরই মধ্যে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গত কয়েক বছরে তাপমাত্রা, বৃষ্টিপাত এবং আর্দ্রতা হঠাৎ করে পরিবর্তিত হয়েছে। জলবায়ুর অসঙ্গতির সঙ্গে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব এবং পজিটিভ কেসও বেড়েছে। আবহাওয়ার অবস্থা ডেঙ্গু রোগের সঙ্গে যুক্ত কারণ এডিস ইজিপ্টির বৃদ্ধি এবং জীবনচক্র বৃষ্টিপাত তাপমাত্রা, আর্দ্রতা এবং বায়ু দ্বারা প্রভাবিত হয়। এটি সরাসরি বা পরোক্ষভাবে হয়ে থাকে। এছাড়া ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির জন্য ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাত সাহায্য করেছে বলেও মূল প্রবন্ধে জানানো হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারি বলেন, সিটি মেয়ররা ডেঙ্গু নিয়ে কতটা সচেতন তা নিশ্চিত নই। তারা পারস্পরিক দোষারোপের মধ্যে আছেন। এই একটা বিষয়ে অন্তত তাদের একসঙ্গে কাজ করা উচিত। আমরা তুলনামূলক ভালোভাবে করোনা মোকাবিলা করেছি। এটি সম্ভব হয়েছে সমন্বিত উদ্যোগে। ডেঙ্গুর বিষয়েও এটি করা গেলে মোকাবিলা করা সম্ভব। প্রয়োজনে আমাদের ইউপি মেম্বারদের ব্যবহার করেন। দুঃখজনকভাবে তা হচ্ছে না।