ঢাকা ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

খুলনায় লবণাক্ত মাটিতে কেনাফ চাষে সফলতার আশা

খুলনায় লবণাক্ত মাটিতে কেনাফ চাষে সফলতার আশা

‘কেনাফ’ পাটের মতো পরিবেশবান্ধব আঁশজাতীয় ফসল। মাটির স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সংরক্ষণে পাটের মতোই কার্যকর ভূমিকা পালন করে এ ফসল। খুলনার কয়রা উপজেলার লবণাক্ত জমিতে পাটের বিকল্প হিসেবে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলকভাবে চাষ শুরু হয়েছে এ ফসলের।

পাটের বিকল্প হিসেবে কেনাফ চাষে সফলতা পেলে তা এ অঞ্চলের কৃষিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহায়তায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে কয়রা উপজেলার হাতিয়ারডাঙ্গায় চার কৃষকের মাধ্যমে ৪ বিঘা জমিতে চলছে পরীক্ষামূলক উৎপাদন। ১৫ থেকে ২০ দিন আগে বপন করা বীজ থেকে এরই মধ্যে চারাও গজিয়েছে। প্রথমবারের মতো কয়রার আমাদী ইউনিয়নের হাতিয়ারডাঙ্গা এলাকায় অপ্রচলিত এ ফসলের আবাদ করেছেন কৃষক প্রবীর সরকার (৩৫)।

এরই মধ্যে তার জমিতে ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি, আবার কোথাও কোথাও ২০ ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হয়েছে কেনাফের চারা। কেনাফ আঁশজাতীয় ফসল হলেও দেখতে একেবারেই পাটগাছের মতো নয়। কেনাফের পাতাগুলো ঢ্যাঁড়শের পাতার মতো বলে জানান এ কৃষক। তিনি বলেন, এবারই প্রথম আমার ১ বিঘা জমিতে কেনাফ চাষ করেছি।

জায়গাটি লবণাক্ত। নানা সমস্যার কারণে আমন ধান ও তরমুজের বাইরে কখনো অন্য কোনো ফসল চাষ করিনি। এবার কয়রা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের পরামর্শে কেনাফ চাষ করেছি।

তারা আমাকে বিনা মূল্যে বীজ, সার, প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। প্রথমদিকে অনিশ্চয়তা থাকলেও এখন ফলন ভালো দেখা যাচ্ছে। কেনাফ চাষের সম্ভাবনা সম্পর্কে কয়রা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অসীম কুমার দাশ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে আমাদের উপকূলের কৃষিকে খাপ খাইয়ে নিতে প্রচলিত কৃষি থেকে কৃষকদের নির্ভরতা কমিয়ে আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাটের বিকল্প হিসেবে কেনাফ চাষে কৃষকদের সম্পৃক্ত করা গেলে তা এ অঞ্চলের কৃষিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে। অনাবাদি, অনুর্বর জমিতে অল্প পরিচর্যা ও স্বল্প খরচে ১১০ দিন থেকে ১২০ দিনে কর্তন করে কেনাফের ভালো ফলন পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত