মিলিটারি ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি’র (এমআইএসটি) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তত্ত্বাবধানে তিন দিনব্যাপী বেসামরিক অবকাঠামো এবং নির্মাণ সামগ্রীর অগ্রগতি সম্পর্কিত দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হয়। কনফারেন্সের উদ্বোধন ঘোষণা করেন গণপ্রাজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, এমপি। এ কনফারেন্সের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘সহনশীলতা এবং স্থায়িত্ব’। পানিসম্পদ এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আইনুন নিশাত কনফারেন্সে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। কনফারেন্সের প্রধান পৃষ্টপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমআইএসটির ভারপ্রাপ্ত কমান্ড্যান্ট ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মু. অহিদুল ইসলাম, এসইউপি, এনডিসি, পিএসসি। কনফারেন্সের উদ্বোধনী সেশনে প্রফেসর ড. গ্র্যাগরি ম্যাকরে, ইউনিভার্সিটি অব ক্যানটারবারি এবং মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদ (অব.) মূল উপস্থাপনা প্রদান করেন। কনফারেন্সের প্রথম দুই দিনে দেশ এবং বিদেশের প্রখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠানের স্বনামধন্য অধ্যাপক, গবেষনাবিদ এবং বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা তাদের প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন। কনফারেন্সের সমাপনী দিনে আগত অতিথিরা এমআইএসটির তত্ত্বাবধানে পদ্মা বহুমুখী সেতু এবং প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করবেন। বিখ্যাত প্রকৌশলী ড. ফজলুর রহমান খান, যাকে উচ্চ কাঠামো নির্মানের জন্য ‘আধুনিক টিউবুলার ডিজাইনের জনক’ বলা হয়ে থাকে, তার সম্মানে এবারের কনফারেন্স আয়োজন করা হয়েছে। এবারের কনফারেন্সে সর্বমোট ৪৪টি পর্বে অনুষ্ঠিত হবে, যার মধ্যে আছে সাতটি মূল পর্ব, চারটি বিশেষ পর্ব, পাঁচটি আমন্ত্রিত পর্ব এবং ২৮টি প্রযুক্তিগত পর্ব। প্রকৌশল অবকাঠামোর চ্যালেঞ্জ, কাঠামোগত গতিশীলতা এবং কম্পন, কাঠামোর মূল্যায়ন এবং স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ, মেরামত, পুনর্বাসন এবং কাঠামোর রেট্রোফিটিং, উদ্ভাবনী নির্মাণ উপকরণ এবং কাঠামো, নির্মান সামগ্রীর কর্মক্ষমতা, জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিবেশ ও জলসম্পদ সম্পর্কিত অবকাঠামো, শহুরে অবকাঠামো এবং পরিবহণ ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিরা তাদের মূল্যবান বক্তব্য উপস্থাপন করেন।