রংপুর নগরীর মেডিকেল পূর্বগেট সংলগ্ন পাকার মাথায় অবস্থিত স্মার্ট লিভিং নার্সিং কলেজের বিল্ডিংয়ে গ্রিন পিচ নার্সিং ইনস্টিটিউট, কমিউনিটি প্যারামেডিকেল, কেয়ার গিভিং কোর্স, সেন্ট্রাল ম্যাটসের ক্লাস নেয়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছে, যা আইন বহির্ভূত। সরেজমিন একই চিত্র ভেসে উঠে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্মাট লিভিং নার্সিং কলেজের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুজা চৌধুরী বলেন, আমাদের বিল্ডিংয়ে গ্রিন পিচ নার্সিং ইনস্টিটিউট ব্যতীত কমিউনিটি প্যারামেডিকেল, কেয়ার গিভিং কোর্স, সেন্ট্রাল ম্যাটসের আলাদা-আলাদা রুমে ক্লাস হয়। তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গ্রিন পিচ নার্সিং ইনস্টিটিউটের ক্লাস এই বিল্ডিংয়ে হয়। এর আগে গ্রিন পিচ নার্সিং ইনস্টিটিউট ও স্মার্ট লিভিং নার্সিং কলেজের নামে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত নোটিশ জারি করেন, যাতে গ্রিন পিচ নার্সিং ইনস্টিটিউটকে একাডেমিক ভবন না থাকার কারণে, কারণ দর্শনোর নোটিশ ও স্মার্ট লিভিং নার্সিং কলেজের নামে ঘাটতি পূরণ সাপেক্ষে নবায়নের নোটিশ প্রদান করা হয়। উক্ত নোটিশে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশনাও দেয়া হয়, নোটিশ থাকলেও আইন ভঙ্গ করে শিক্ষাবর্ষের সব কার্যক্রম চলমান রয়েছে। নোটিশের ব্যাপারে নিউজ পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হলে ক্লাস চালু থাকায় তড়িঘড়ি করে ২৫-২৯ তারিখ পর্যন্ত নতুন শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ রেখে ছুটি দেয় কলেজ প্রশাসন। শিক্ষার্থীদের কাছে জানতে চাইলে ভর্তি সংক্রান্ত জটিলতা দেখিয়ে হঠাৎ ৫ দিনের ছুটি দেয় কলেজ প্রশাসন, এর কারণ জানানো হয়নি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা সুজা চৌধুরী বলেন, বন্ধের কারণ সবাই জানে, নোটিশ সাপেক্ষে আমরা কলেজ বন্ধ রেখেছি। আমরা প্রতি বছর এই একই সময় ছুটি দিয়ে থাকি, যেটাকে আমরা বলি হোম ছিকনেস জনীত ছুটি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্মাট লিভিং নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষসহ শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারীগণ একই বিল্ডিংয়ে অবস্থিত ৫টি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন, তারা প্রতিষ্ঠানের সব কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা কথা বলতে অনিহা প্রকাশ করেন, পাশাপাশি গ্রিন পিচ নার্সিং ইনস্টিটিউটের ব্যাপারে মুখ খুলতেও অনিহা প্রকাশ করেন, তিনি বলেন আপনারা যা জানেন আমরাও তাই জানি। এ সময় অফিসের কর্মকর্তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তাদের দেখা গেলেও পরে আর দেখা মেলেনি।